ফের যাত্রীক্ষোভের মুখে রেল (Indian Railway) কর্তৃপক্ষ। ট্রেন দেরিতে চলছে, এই কথা নতুন নয়, ভারতের যে কোন প্রান্তে গেলেই একবার হলেও শুনতেই হবে এই কথা। লোকাল ট্রেনই হোক বা দূরপাল্লার ট্রেন, কেউই ব্যতিক্রম নয়। শীতকাল এলে এই ঘটনা আরো বেশি দেখা যায়। দূরপাল্লার ট্রেন ৪ বা ৫ ঘণ্টা থেকে ১৪ কিংবা ১৫ ঘণ্টাও দেরি হয়। এরকমই এক ঘটনায় এবার জরিমানা দিতে হল রেলকে।
আরও পড়ুন-ট্রাকের সঙ্গে পিক আপ ভ্যানের সংঘর্ষে মৃত ৬
স্টেশনে দাঁড়িয়েই করছিলেন ট্রেনের অপেক্ষা। মেসেজ এল ট্রেন আসতে দেরি হবে। একঘণ্টা-দু’ঘণ্টা নয় ট্রেন এল ১৩ ঘণ্টা দেরিতে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার ফলে চরম হেনস্থার সম্মুখীন হতে হয় যাত্রীদের। এর ফলেই ক্রেতাসুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন এক যাত্রী। ভারতীয় রেলওয়েকে ৬০,০০০ টাকার ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিল আদালত। কেরলের এরনাকুলাম জেলা কনজিউমার ডিসপুটস রিড্রেসাল কমিশনের তরফে ভারতীয় রেলওয়েকে এই ঘটনার ফলে জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন-এসো মা লক্ষ্মী
কার্তিক মোহন নাম এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন। ৬০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ দিতে বলা হয়। ট্রেন ১৩ ঘণ্টা লেট করায় যাত্রীকে মানসিক যন্ত্রণা ও হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। এই জন্যই আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে। কার্তিক মোহন চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। তিনি কেরলের এরনাকুলাম থেকে চেন্নাই যাওয়ার জন্য ২২৬৪০ আলাপুজ্জা-চেন্নাই এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রা করছিলেন। চেন্নাইয়ে অফিসের একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রেন ১৩ ঘণ্টা দেরি করে এসেছে বলেই তিনি এদিনের মিটিংয়ে যোগ দিতে পারেননি। শুধু তাই নয়, ওই ট্রেনে বেশ কয়েকজন নিট পরীক্ষার্থীও ছিল, তারাও এই ঘটনার ফলে পরীক্ষায় বসতে পারেননি।
আরও পড়ুন-ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর অভিনব পরিকল্পনা
কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রক উল্লেখ করেছে যে অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি যেমন ট্র্যাক রক্ষণাবেক্ষণ, সিগন্যাল ব্যর্থতা, দুর্ঘটনার ফলে মাঝে মাঝে বাধ্য হয়ে ট্রেন বাতিল করতে হয় বা নির্ধারিত সময় বজায় রাখার জন্য কোনও ভাল বিকল্প ব্যবস্থা করা যায় না। এই ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। এই ঘটনায়, ট্রেন নং ২২৬৪০ এর পেয়ারিং ট্রেনের দেরিতে আসার কারণে আলাপ্পুঝা স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার জন্য সময় পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছিল। চেন্নাই ডিভিশনের আরাককোনামে ইয়ার্ড রিমডেলিং কাজের কারণে ভিলুপুরম এবং কাটপাডির মধ্য দিয়ে ট্রেনের মোড় নেওয়ার কারণে দেরি হয়। এটি একটি নিরাপত্তা-সম্পর্কিত প্রয়োজনীয়তা বলেই রেলের তরফে দাবি করা হয়।