প্রতিবেদন : রাজনৈতিক দলগুলির আয়ের উৎস কী তা জানার অধিকার নেই সাধারণ মানুষের। সোমবার শীর্ষ আদালতে এমনই আজব যুক্তি পেশ করল কেন্দ্রের মোদি সরকার। এদিন সুপ্রিম কোর্টে ‘নির্বাচনী বন্ড’ সংক্রান্ত মামলায় অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরামানি জানান, সংবিধান সবকিছু জানার অধিকার দেয় না জনতাকে। বিশেষ ক্ষেত্রে যুক্তিসঙ্গত গোপনীয়তা প্রয়োজন। যার জেরেই তথ্যের অধিকার আইন সব জায়গায় খাটে না বলে দাবি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
আরও পড়ুন-বামশিবিরে ফের ভাঙন তৃণমূলে ২ সক্রিয় নেতা
এদিন অ্যাটর্নি জেনারেল উল্লেখ করেন, যে নির্বাচনী বন্ড স্কিম নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, সেটি অনুদানদাতাকে গোপনীয়তার সুরক্ষা দেয়। স্বচ্ছতার সঙ্গে অর্থ প্রদানের ব্যবস্থা করে। পাশাপাশি করদানের যাবতীয় বাধ্যবাধকতা মেনে চলে। এই পদ্ধতি কোনওরকম আইনি অধিকারকে লঙ্ঘন করে না বলেই জানান ভেঙ্কটরামানি। সে প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, সংবিধান সবকিছু জানার অধিকার দেয় না জনতাকে। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ ও অসম বিধানসভা ভোটের আগে নির্বাচনী বন্ডের বিরোধিতায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল শীর্ষ আদালতে।
আরও পড়ুন-আলিপুর জেল মিউজিয়ামে থাকবে চালতাবাগান সর্বজনীনের দুর্গা মূর্তি
মামলাকারীরা অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক দলগুলির অবৈধ এবং বিদেশ থেকে এই বন্ডের মাধ্যমে টাকা পেতে পারে। এর ফলে গণতন্ত্র ধ্বংস হবে। যদিও কোনও রাজনৈতিক দলই এই দাবি মানতে চায়নি। শীর্ষ আদালতে এই মামলা উঠেছে বৃহত্তর বেঞ্চে। ৩১ অক্টোবর অথবা ১ নভেম্বর এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা। তার আগেই শীর্ষ আদালতে মামলার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের মত জানিয়ে দিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল। এদিকে এপ্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার বলেছেন, নাগরিকরা যাতে যাচাই করতে না পারে কোনও এ বা বি ক্ষমতাসীন দলকে কত দিয়েছে এবং বিনিময়ে কী সুবিধা পাচ্ছে, এই কারণেই নির্বাচনী বন্ড এবং বড় ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারদের অনুদানকে ঘিরে ধূর্ত আবরণ তৈরি করেছেন মোদি।