সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : ‘নৈতিকতা হারালে মানুষ এমন আচরণ করতে পারে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অপমান মানে বাঙালির অপমান, সারা দেশের অপমান। অ্যাকাডেমিক শিক্ষা অর্জন হলেই প্রকৃত শিক্ষা হয় না। কবিগুরুর মতো একটা জনহিতৈষী কাজ করে দেখান। একটা আলাদা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করে দেখান।’ এভাবে বিশ্বভারতী ও উপাচার্যের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন ক্রেতাসুরক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো।
আরও পড়ুন-কালীপুজো, ভাইফোঁটায় কর্মীদের আরও ছুটি রাজ্যে
ফলক-বদলের দাবিতে বিশ্বভারতীতে আন্দোলন পা দিল চতুর্থ দিনে। কালো ব্যাজ পরে রবি ঠাকুরের ছবি নিয়ে উপাচার্যের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুখর হল ধর্নামঞ্চ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর আন্দোলনের ধার বাড়াতে রাজ্যের মন্ত্রীরা ধর্নামঞ্চে হাজির হন। উপাচার্যের স্বৈরাচারী আচরণের এবং বাঙালির অস্মিতায় একের পর এক আঘাতের প্রতিবাদে বিজেপি সরকার তথা উপাচার্যের সমালোচনা করেন তাঁরা। সোমবার শান্তিনিকেতন কবিগুরু হস্তশিল্প মার্কেটের সামনে মঞ্চে যথারীতি চলে ধর্না। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, ময়ূরেশ্বর বিধায়ক অভিজিৎ রায়, অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য, দেবব্রত সরকার, সুপ্রিয় সাধু প্রমুখ।
আরও পড়ুন-নির্বাচনের আগে আমলাদের দিয়ে প্রচারের কৌশল! কেন্দ্রের পদক্ষেপের সমালোচনা জহরের
উপাচার্য ফলক পরিবর্তন না করায় তৃণমূল কংগ্রেস আন্দোলন তীব্রতর করছে। তৃণমূল কংগ্রেসের মাতৃসংগঠন, তৃণমূল যুব, বিশ্বভারতী ছাত্রছাত্রী ইউনিট ও মহিলা তৃণমূল-সহ তৃণমূলের সমস্ত শাখা সংগঠন আন্দোলনে সামিল হয়েছে। বোলপুরের সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী সমিতি সংগঠন ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা, বসন্ত উৎসব বন্ধ করে দেওয়ায় উপাচার্যের উপর ক্ষিপ্ত। তার উপরে আশ্রমের ঐতিহ্যবাহী ভবনের সামনে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি-ফলকে রবীন্দ্রনাথের নাম বাদ দেওয়ায় তিতিবিরক্ত। তাঁরাও মেয়াদ-উত্তীর্ণের আগেই বিদ্যুতের অপসারণ চাইছেন।