প্রতিবেদন : বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন, তার আগে ফের পেগাসাসের ছায়া রাজনীতিতে। ফের বিরোধীদের ফোনে আড়ি পাতা শুরু কেন্দ্রের। শুধু তাই নয়, দেশ জুড়ে বিরোধী নেতা-নেত্রীদের ফোন-ল্যাপটপ হ্যাক করা শুরু। বিশেষ করে ইন্ডিয়া জোট তৈরির পর থেকে বিরোধী জোটের নেতা- নেত্রীদের ফোনে আড়ি পাতার ক্ষেত্রে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি সরকার। মঙ্গলবার দিনভর এই ইস্যুতে গর্জে উঠল তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন-বিজেপির প্রতিহিংসা, কেজরির গ্রেফতারের আশঙ্কা আপের
বিশেষত সোশ্যাল মিডিয়ায় এ বিষয়ে এদিন প্রতিবাদে সোচ্চার থেকেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রসঙ্গত, এর আগেও পেগাসাস স্পাইওয়্যার নিয়ে জাতীয় রাজনীতি তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল। সে সময় অভিযোগ উঠেছিল, দেশের সাংবাদিক, বিরোধী রাজনীতিবিদদের ফোন হ্যাক করেছিল সরকার। তা নিয়ে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগও উঠেছিল সে সময়ে। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে তাদের সামাজিক মাধ্যমে বলা হয়েছে, আমরা বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে বেআইনি নজরদারির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানাই। এটি সেই ভারত নয় যা আমরা জানি, কারণ কেন্দ্রীয় সরকার আইন, সংবিধান এবং বিচার বিভাগকে উপেক্ষা করে বলে মনে হচ্ছে।
আরও পড়ুন-ভোটার তালিকা সংশোধন সরল করার দাবি জানাল তৃণমূল, মোবাইল ফোনে ভােটার হেল্পলাইন অ্যাপ
তৃণমূলের কটাক্ষ, যেন আমরা একটি অঘোষিত জরুরি অবস্থার সম্মুখীন হচ্ছি।
তৃণমূলের বক্তব্য, অতীতেও আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে পেগাসাসকে স্নুপিং টুল হিসেবে ব্যবহার করে টার্গেট করা হয়েছিল। পেগাসাস ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের তরফে পুরো তদন্তটি স্থগিত করায় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তা আশ্চর্যজনক ও দুঃখজনক বলে মন্তব্য করা হয়েছে। মঙ্গলবার একইভাবে আড়িপাতার অভিযোগ করেছে কংগ্রেস-আপও।