প্রতিবেদন : কুরুচিকর মন্তব্যের জের। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আইনি নোটিশ পাঠালেন বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার। রেশন দুর্নীতি মামলায় সম্প্রতি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই বিষয়ে কাকলির নাম জড়িয়ে মন্তব্য করেন বিজেপি বিধায়ক। এর জেরে মানহানির আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন বারাসতের সাংসদ। নিজের স্যোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে সেই কথা জানিয়ে কাকলি লেখেন, আমার এবং আমার পরিবারের সবাই খেটে খাওয়া মানুষ, আমরা কোনও অনৈতিকভাবে উপার্জন করি না। অন্যায়ের সঙ্গে আপস করি না। আমাদের নামে যেভাবে সংবাদ মাধ্যমের সামনে কুরুচিকর মন্তব্য করেছে তার জন্যই শুভেন্দু অধিকারীকে মানহানির আইনি নোটিশ পাঠালাম।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ প্রকল্পের সাফল্য, দুর্ঘটনাপ্রবণ রাজ্যের তালিকায় নেই বাংলা
কাকলির তরফে শুভেন্দুকে পাঁচপাতার আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন আইনজীবী প্রসেনজিৎ নাগ। জ্যোতিপ্রিয় গ্রেফতার হওয়ার পরে রানাঘাটে দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিরোধী দলনেতা কাকলির সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেন। তার প্রেক্ষিতেই আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন কাকলি। সেখানে লেখা হয়েছে, বিরোধী দলনেতা সমাজমাধ্যমে বলছেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদারও জড়িত। নোটিশে লেখা হয়েছে, আমার মক্কেল একজন রাজনীতিকই নন, নির্বাচিত সাংসদ ও নামী চিকিৎসক। তাই বিরোধী দলনেতার মন্তব্যে তাঁর এবং পরিবারের সম্মানহানি হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিঃর্শত ক্ষমা না চাইলে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। যেখানে এই মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু তার লিঙ্কও নোটিশে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-কালোবাজারি প্রতিরোধে অভিযানে নামছে টাস্কফোর্স, পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে তৎপর রাজ্য
বারবার রাজ্যের শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকার। রাজ্যের মানুষের উন্নয়ন, বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার কোনও কথা তাঁর বক্তব্যে পাওয়া যায় না। সেই বক্তব্যে অনেক সময়ই শালীনতার মাত্রা ছাড়ান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এই পরিস্থিতি আইন নোটিশ পেয়ে মুখে কুলুপ দলবদলু নেতার।