প্রতিবেদন : এঁরাই নাকি আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত করেন! এবার খোদ ইডির অফিসারই ঘুষ নিয়ে গ্রেফতার হলেন। ভোটমুখী রাজস্থানের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
সম্প্রতি রাজস্থানে বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন (ফেরা) সম্পর্কিত একটি মামলায় মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের ছেলে বৈভব গেহলটকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গোবিন্দ সিং দোতাসারার বাসভবনে তল্লাশি চালায় ইডি। বৃহস্পতিবারও প্রদেশ সভাপতি দোতাসারার দুই ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে এক ইডি অফিসার (ED officer) ধরা পড়লেন রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখার হাতে। ১৫ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ইডি অফিসারকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থানের অ্যান্টি করাপশন ব্যুরো (এসিবি)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারের (ED officer) বিরুদ্ধে এক মধ্যস্বত্বভোগীর মাধ্যমে ১৭ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করার অভিযোগ ওঠে। এরপরই ইডি অফিসার নওলকিশোর মীনাকে রাজস্থান সরকারের তদন্তকারী সংস্থা গ্রেফতার করে। ইডি অফিসারের সঙ্গে ধরা পড়েছেন বাবুলাল মীনা নাম রাজস্থান সরকারের এক কর্মচারীও। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের ইও পদে কর্মরত ছিলেন নওলকিশোর মীনা। নওলকিশোরের বিরুদ্ধে চিটফান্ড সংক্রান্ত একটি মামলা বন্ধ করার পাশাপাশি এক অভিযুক্তের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত না করা এবং গ্রেফতারির হাত থেকে বাঁচাতে ১৭ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার ১৫ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় ইডি অফিসারকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেন রাজস্থানের দুর্নীতি দমন শাখার অফিসাররা। তাঁর সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া বাবুলাল মীনা ছিলেন মধ্যস্থতাকারী। রাজস্থান এসিবি’র অতিরিক্ত মহা নির্দেশক হেমন্ত প্রিয়দর্শী জানিয়েছেন, ধৃত দু’জনের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। আরও কারা অভিযুক্ত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দেশজুড়ে যখন বিজেপির মদতে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি বিরোধীদের বিরুদ্ধে সক্রিয় বলে বারবার অভিযোগ উঠছে, তখন দেখা যাচ্ছে খোদ সরষের মধ্যেই ভূত! স্বভাবতই এই ঘটনায় চাপে রাজস্থানের বিজেপি নেতারা।
আরও পড়ুন- নজরে রাজ্যের কোষাগার, টাকা খরচে স্বচ্ছতার লক্ষ্যে নয়া বিধিনিষেধ