সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : রবীন্দ্রভবনের স্পেশাল অফিসার পদে আসীন আধিকারিক নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শান্তিনিকেতনে, শুক্রবার। নিজস্ব পেজে নাম না করে মূলত উপাচার্যের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনও এক আধিকারিক আজকে রবীন্দ্রভবনে যেতে নিষেধ করেন। কারণ তাঁর ধারণা ছিল, রবীন্দ্রভবনে গেলে কোনওভাবে নীলাঞ্জনবাবু বিপদে পড়তে পারেন।
আরও পড়ুন-শিশির অধিকারীর সম্পত্তির খতিয়ান তুলে নিশানা কুণাল ঘোষের
কিন্তু নীলাঞ্জনবাবু সেই সতর্কবার্তায় কান না দিয়ে রবীন্দ্রভবনে যান। এবং সেখানে ছটা পর্যন্ত কাজও করেন। তবে তার আগে সমাজমাধ্যমে তাঁর বিপদের আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেন। এ নিয়ে নীলাঞ্জনবাবুর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। নিজের পোস্টে নীলাঞ্জন তাঁর জীবনহানির আশঙ্কা প্রকাশ করে লেখেন, তাঁকে এক উচ্চপদস্থ কর্তা মৌখিক বার্তা পৌঁছে দিয়ে অনুরোধ করেন তিনি যেন আজ কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ না করেন এবং সম্পূর্ণ দূরে অন্য এক বিভাগে গিয়ে আজকের দিনটা বসেন। যেহেতু তাঁকে কোনও লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়নি, তিনি ওই মৌখিক অনুরোধে গুরুত্ব না দিয়ে যে কোনও মূল্যেই নিজের কাজের জায়গায় ঢোকার সিদ্ধান্ত নেন। এবং অন্য দিনের মতো সকাল সাড়ে নটায় কর্মক্ষেত্রে ঢোকেন। কাজও করেন। কিন্তু তাঁর শঙ্কা, উচ্চপদস্থ কোনও কর্তা অথবা তাঁর নিযুক্ত কোনও অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের হাতে তাঁর প্রাণহানি হতে পারে। এবং তা নিয়ে সমস্ত বোলপুর-শান্তিনিকেতনবাসী, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-ছাত্র-কর্মিবৃন্দ এবং স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনকে নিরাপত্তা দিতে অনুরোধও জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন-ভুল শুধরে কেরলের বিরুদ্ধে আজ জয়ের খোঁজে ইস্টবেঙ্গল
উল্লেখ্য, এব্যাপারে নীলাঞ্জনবাবুর পক্ষ থেকে থানায় কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। উপাচার্যকে নিজেই গাড়ি চালিয়ে বিশ্বভারতী থেকে বের হয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। সূত্রের খবর, তিনি দিল্লি যাচ্ছেন। জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ নিয়ে ফোন করা হলেও জবাব মেলেনি।