বিরাট-ইনিংসে ভর করেই টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে ভারত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে করে ৩২৬ রান। শ্রেয়স আইয়ারের হাফ সেঞ্চুরি (৭৭) ও অধিনায়ক রোহিত শর্মার (৪০) আগ্রাসী ব্যাটিংও ভারতকে ৩০০-র উপর রান করতে সাহায্য করেছে। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা জাদেজা, মহম্মদ শামিদের বোলিং-বিক্রমে অল আউট হয়ে যায় মাত্র ৮৩ রানে। ৮ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান মজবুত করল টিম ইন্ডিয়া।
আরও পড়ুন-বিরাটের জন্মদিনে সিএবি দিচ্ছে সোনার ব্যাট, শুভেচ্ছাবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
টসে জিতে রোহিত শুরুতে ব্যাটিং নেওয়ায় আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। সেমি ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় ঝুঁকি নিলেন না তো! শেষ পর্যন্ত দুর্দান্ত ছন্দে থাকা ভারতীয় বোলারদের দাপটে জয়ের ধারা অব্যাহতই থেকেছে। তবে এতটা সহজে জয় আসবে ভাবা যায়নি। দক্ষিণ আফ্রিকাই ভারতের পর এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম শক্তিশালী দল। টুর্নামেন্টে কুইন্টন ডি’ককরাই সবচেয়ে বিধ্বংসী ব্যাটিং করছিল। কিন্তু ভারতীয় বোলারদের দাপটে শ্রীলঙ্কার মতোই অবস্থা হল দক্ষিণ আফ্রিকার। ইডেনে ম্যাচের আগের দিন অনুশীলনে দেখা গিয়েছিল, শুধুমাত্র স্পিনারদের বিরুদ্ধেই মহড়া সারছেন প্রোটিয়া ব্যাটাররা। ভারতের পেস-ত্রয়ী যেমন বিধ্বংসী মেজাজে রয়েছেন, তেমনই স্পিন জুটি জাদেজা-কুলদীপকেও অবহেলা করার জায়গা ছিল না। ডেভিড মিলারদের আশঙ্কাই সত্যি হল।
আরও পড়ুন-বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে থানায় মানহানির অভিযোগ
মহম্মদ শামি, সিরাজ, বুমরারা দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের বিব্রত করলেন। শামি এই ইডেনে তাঁর ঘরের মাঠেও দাপট দেখিয়ে জোড়া উইকেট নিলেন। বিশ্বকাপে তাঁর উইকেট সংখ্যা ১৬।
বিশ্বকাপের বাকি ভেনুর ম্যাচগুলোকেও এদিন ছাপিয়ে গেল ইডেন। টসের আগেই ভরে যায় মাঠ। শুধু ক্রিকেটের স্বর্গ্যোদ্যানে নয়, গোটা কলকাতাই যেন নীল সমুদ্রের চেহারা নিয়েছে। টিম ইন্ডিয়ার জার্সি গায়ে শহরের ক্রিকেটপ্রেমীরা বাস-মেট্রোয় ভিড় করে ইডেনমুখো হন। সেমিফাইনালে ইডেনে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ না হলে এই একবারই বিরাট-রোহিত শর্মাদের খেলা দেখার সুযোগ। তাই ক্রিকেটের স্বাদ চেটেপুটে নিতে চেয়েছেন তিলোত্তমা কলকাতা।