প্রতিবেদন : স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে উচ্চ প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু হল সোমবার থেকে। এদিন সকাল নটা থেকে সল্টলেক এসএসসি ভবনের সামনে হাজির হন চাকরিপ্রার্থীরা। স্বচ্ছতা বজায় রেখেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া চলে। সোমবার ৩০০ জন প্রার্থী কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করেন। ধাপে ধাপে প্রায় ১৩ হাজার চাকরি প্রার্থীর কাউন্সেলিং করা হবে বলে এসএসসি সূত্রে খবর। সোমবার সকাল ১০টা থেকে সল্টলেকে এসএসসির নতুন ভবনে কাউন্সেলিং শুরু হয়।
আরও পড়ুন-এশিয়ান হকিতে বাজিমাত মেয়েদের
সব মিলিয়ে চাকরি প্রার্থীর সংখ্যা ১৩,০০০-এর কিছু বেশি। ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে কাউন্সেলিং পর্ব। আদালতের নির্দেশ মেনে এখন আপাতত সুপারিশপত্র না দিতে পারলেও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে কোন প্রার্থী কোন স্কুল বেছে নিয়েছেন তা উল্লেখ করে দেওয়া হবে এসএসসির তরফে। সঙ্গে দেওয়া হবে প্রার্থীদের সম্মতিপত্র। কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া নিয়ে যাতে কোনও অভিযোগ না ওঠে, তার জন্য একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। ভবনের ভিতরে বেশ কয়েকটি স্ক্রিন লাগানো হয়েছে। চাকরি প্রার্থীরা ওই স্ক্রিনে কে কোন স্কুল বেছেছেন তাও ডিসপ্লে করে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। কাউন্সেলিং শুরুর আগে প্রার্থীদের নথি পরীক্ষা করা হয়। সেখানে ডিগ্রি, প্রশিক্ষণ, জাতিগত শংসাপত্র-সহ সমস্ত নথি যাচাই করা হয়। এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানিয়েছেন, সমস্ত তথ্য ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-বসুন্ধরা ম্যাচে তিন পয়েন্টে চোখ বাগানের
প্যানেল থেকে স্কুলের নাম, কাউন্সেলিংয়ের খুঁটিনাটি, তালিকা সবই আপলোড করার পাশাপাশি প্রার্থীদের কাছে কললেটারও পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আদালত প্রার্থীদের সুপারিশপত্র দেওয়ার অনুমতি না দেওয়ায়, তাঁদের সম্মতিপত্র দেওয়া হবে। সেখানে প্রার্থী কোন স্কুল বেছে নিয়েছেন, তার উল্লেখ থাকবে। পরবর্তীকালে আদালতের সম্মতি পেলে, প্রার্থীদের সুপারিশপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিদ্ধার্থবাবু।