নয়াদিল্লি, ৯ নভেম্বর : বিশ্বকাপের ২২ গজে বল হাতে আগুন ঝরাচ্ছেন মহম্মদ শামি, জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজরা। যা দেখে মুগ্ধ অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, ওয়াসিম আক্রমের মতো কিংবদন্তিরা।
গিলক্রিস্ট যেমন বলছেন, দিন হোক বা রাত, এবারের বিশ্বকাপে ভারতীয় জোরে বোলিংকে ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছে। জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামি, মহম্মদ সিরাজদের বোলিং দেখে মনে হচ্ছে, বিপক্ষ ব্যাটাররা ওদের ভয়ে কাঁপছে। কীভাবে ওদের খেলতে হবে সেই রাস্তা এখনও কেউ খুঁজে পায়নি। তাঁর সংযোজন, এই তিনজন ছাড়াও রবীন্দ্র জাদেজা ও কুলদীপ যাদবের মতো স্পিনার আছে। ভারতীয় পিচে ওরা দু’জনেই যে ম্যাচ উইনার, সেটা আমার বলার অপেক্ষা রাখে না। ড্রেসিংরুমে বসে রয়েছে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মতো অভিজ্ঞ স্পিনার। কোনও অঘটন না ঘটলে ভারতই চ্যাম্পিয়ন হবে।
আরও পড়ুন-বিদ্যুৎবিদায়ে শান্তিনিকেতনে হঠাৎ বসন্তোৎসব
আক্রমের বক্তব্য, আমি সেরাদের একজন—সফল হওয়ার জন্য একজন বোলারের মধ্যে এই আত্মবিশ্বাস থাকাটা খুব জরুরি। ভারতীয় জোরে বোলারদের মধ্যে আমি এই আত্মবিশ্বাসের ঝলক দেখতে পাচ্ছি। বিশেষ করে শামি। ওকে দেখে মনে হচ্ছে জীবনের সেরা ফর্মে রয়েছে। আক্রম আরও যোগ করেছেন, শামির বোলিংয়ের বৈশিষ্ট্য হল লাগাতার সিমে বলে ফেলে যাওয়া। ও কিন্তু পিচে বল সজোরে আছড়ে ফেলে না। বরং ওর বল পিচে যেন চুমু খেয়ে সোজাসুজি ব্যাটারদের কাছে যায়। আর একই জায়গা থেকে একবার ভিতরে আসে আবার বাইরে বেরিয়ে যায়।
আরও পড়ুন-৩৭৩ বছরের প্রাচীন কৃষ্ণানন্দের কালীপুজো ঘিরে উন্মাদনা
ইংল্যান্ড ম্যাচে শামি যেভাবে বেন স্টোকসকে বোকা বানিয়ে বোল্ড করেছিলেন, সেই প্রসঙ্গ টেনেছেন আক্রম। তিনি বলেন, স্টোকস সেদিন বলটা বুঝতেই পারেনি। রাউন্ড দ্য উইকেটে টানা পাঁচটা বল সিমে ফেলে বাইরে বের করার পর, একই জায়গা থেকে ভিতরে এনেছিল শামি। তাতেই স্টোকস বোল্ড হয়ে যায়। ও ধরতেই পারেনি, একই জায়গা থেকে বল বাইরে না গিয়ে ভিতরে চলে আসবে। এই জন্যই শামিকে খেলা এত কঠিন। বুমরা কব্জির মোচড়ে সুইং করায়। শামি সেটা করে বল সিমে ফেলে। দু’জনের মধ্যে এটাই তফাত।