প্রতিবেদন : কোভিডের নতুন প্রজাতি নিয়ে চিন্তা বাড়ছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। এই ভ্যারিয়েন্ট জেএন-১ নিয়ে ইতিমধ্যেই বিশ্লেষণ শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই প্রজাতির করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করার মতো ইতিবাচক সমাধান পাননি বিজ্ঞানীরা। মনে করা হচ্ছে, নতুন প্রজাতি এতটাই মারাত্মক হতে পারে যে টিকা দিয়েও সংক্রমণ আটকানো যাবে না।
আরও পড়ুন-কাতারে ৮ নৌকর্মীর মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের কেন্দ্রের
সম্প্রতি আমেরিকা এবং অন্যান্য ১১টি দেশে ইতিমধ্যেই কোভিড ভাইরাসের জেএন-১ প্রজাতির খোঁজ মিলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত কয়েক বছরে কোভিডের এক্সবিবি-১.৫ প্রজাতির আক্রমণে সাধারণ মানুষ সংক্রমিত হয়েছে। সেক্ষেত্রে বয়স এবং কোমর্বিডিটির উপর সংক্রমণের তীব্রতা বৃদ্ধি নির্ভর করেছিল। সেইসবের উপর ভিত্তি করেই ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে। কিন্তু জেএন-১ নতুন স্পাইক প্রোটিনের শক্তি নিয়ে আগের ভ্যারিয়েন্টগুলির থেকে অনেকটাই বেশি সংক্রামক হতে চলেছে। এর উৎপত্তি মূলত ওমিক্রন থেকে।
আরও পড়ুন-সিসোদিয়ার জামিন না পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি
বিজ্ঞানীদের একাংশ মনে করছে, কোভিডের নতুন প্রতিরূপটি আসলে বিএ.২.৮৬-এর বংশধর। ২০২৩ সালের ২৫ অগাস্ট লুক্সামবার্গে সবার প্রথম কোভিডের জেএন-১ প্রজাতির হদিস মেলে। আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের রিপোর্ট বলছে, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও আমেরিকাতেও এই ভাইরাসের খোঁজ পাওয়া গেছে। এটি একবার মানব শরীরে বাসা বাঁধলে ইমিউনিটি বা স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। তাই চলতি ভ্যাকসিন বা বুস্টার এই প্রজাতির উপর কার্যকর হবে না বলে আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের।