সিসোদিয়ার জামিন না পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি

সুপ্রিম কোর্টে জামিন মেলেনি দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার।

Must read

প্রতিবেদন : সুপ্রিম কোর্টে জামিন মেলেনি দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার। সর্বোচ্চ আদালতের এই রায় নিয়ে এবার সরাসরি প্রশ্ন তুললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মদন বি লোকুর।

আরও পড়ুন-সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু ৪ ডিসেম্বর

আদালতের জামিন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলে তিনি বলেছেন, মনে হচ্ছে আদালত জামিন মঞ্জুর বা প্রত্যাখ্যানের মূল নীতিগুলি ভুলে গিয়েছে। এর পাশাপাশি তদন্তকারী সংস্থার অসম্পূর্ণ চার্জশিট দাখিল এবং অভিযুক্তদের কারাগারে রাখার জন্য নথি না দেওয়ার মতো পদক্ষেপগুলি খতিয়ে দেখতে বিচারবিভাগের অনীহাকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করেছেন শীর্ষ আদালতের এই প্রাক্তন বিচারপতি। আপ নেতার জামিন সংক্রান্ত প্রশ্নে তাৎপর্যপূর্ণ মত প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন বিচারপতি লোকুর।

আরও পড়ুন-আইটি সেলের বিজয়া সম্মিলনী

তিনি বলেন, সাধারণভাবে মনে হচ্ছে আদালত জামিন মঞ্জুর বা প্রত্যাখ্যান করার মূল নীতিগুলি ভুলে গিয়েছে। একজন ব্যক্তি গ্রেফতার হলে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন যে তিনি অন্তত কয়েক মাস জেলে থাকবেন। প্রাক্তন বিচারপতি বলেন, পুলিশ প্রথমে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে, তারপর গুরুত্ব সহকারে তদন্ত শুরু করে, একটি অসম্পূর্ণ চার্জশিট দাখিল করা হয় এবং তারপর একটি সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করা হয় এবং নথি জমা করা হয় না। লোকুর বলেন, সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক ও বিরক্তিকর বিষয় হল কিছু আদালত এই বিষয়ে নজর দিতে প্রস্তুত নয়।

আরও পড়ুন-জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি লোকুর আরও বলেন, কিছু রাজনীতিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা নতুন কিছু নয়। কিছু রাজনীতিকের বিরুদ্ধে আরও ফৌজদারি মামলা রয়েছে। সব ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তোলা কঠিন, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তার সত্যতা থাকতে পারে। এইসবের বিরক্তিকর দিকটি হল তদন্ত শুরু হওয়ার পরে এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তি আনুগত্য পরিবর্তন করার পরে তদন্ত বন্ধ হয়, যা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগকেই জোরালো করে। অভিযোগের সারবত্তা নিয়েই তখন গুরুতর সন্দেহের জন্ম হয়। প্রাক্তন বিচারপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট অনেক রায়ে জামিনের ক্ষেত্রে বিচক্ষণ ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য মৌলিক নীতি গ্রহণ করেছে। সমস্যা হল কিছু আদালত সব জেনেও এই মৌলিক নীতিগুলি প্রয়োগ করে না। কেন এমন করা হচ্ছে তা নিয়ে তাই প্রশ্নের অবকাশ থেকে যায়।

Latest article