প্রতিবেদন : সংসদের এথিক্স কমিটি মহুয়া মৈত্রকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করার সুপারিশ করেছে বৃহস্পতিবার। তারপর এথিক্স কমিটির সুপারিশের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন তৃণমূল সাংসদ। শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্ট করে কমিটিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানালেন মহুয়া। তিনি লেখেন, অনৈতিকভাবে এথিক্স কমিটি আমাকে বহিষ্কার করেছে। তিনি এথিক্স কমিটিকে ‘সালিশি সভা’ বলেও কটাক্ষ করলেন এদিন। আর বললেন, পুরোটাই বিজেপির চক্রান্ত।
আরও পড়ুন-তারাক্ষ্যাপা বামাক্ষ্যাপা
মহুয়া মৈত্র বলেন, সাসপেনশনের সুপারিশ করলেও বহিষ্কারের সুপারিশ করতে পারে না এথিক্স কমিটি। কিন্তু কোনও প্রমাণ ছাড়াই আমাকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। মোদি-আদানির ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় কোপে পড়েছি। ৪ বার কেন, ৪০ বার দুবাই যাব, ১০০ বার বিদেশ যাব। তার জন্য মোদির অনুমতি নিতে হবে নাকি? মহুয়া দুবাইয়ের ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির থেকে দু’কোটি টাকা নগদ নিয়ে আদানির বিরুদ্ধে সংসদে প্রশ্ন করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল সাংসদ তার পরিপ্রেক্ষিতে জানান, দর্শন আমার বন্ধু। কখনও জন্মদিনের উপহার হিসাবে স্কার্ফ, লিপস্টিক বা আইশ্যাডো উপহার পেয়েছেন ঠিকই, কিন্তু দু’কোটি টাকা নগদ নেওয়ার কথা একেবারেই ভিত্তিহীন। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে ও প্রাক্তন বন্ধু জয় অনন্ত দেহাদ্রাইকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে মহুয়া বলেন, কোথায় কবে দু’কোটি টাকা নিয়েছি প্রমাণ করুক দেখি!
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
তাঁকে সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ নিয়ে মহুয়া মৈত্র কটাক্ষের সুরে বলেন, আমি খুব সম্মানিত বোধ করছি এই কারণে যে, ইতিহাসে আমিই প্রথম, যাঁকে এথিক্স কমিটি অনৈতিকভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে। তিনি বলেন, এথিক্স কমিটি কখনও বহিষ্কারের সুপারিশ করতে পারে না। বহিষ্কার করার এক্তিয়ার রয়েছে কেবলমাত্র সংসদের প্রিভিলেজ বা স্বাধিকাররক্ষা কমিটির। কিন্তু এক্ষেত্রে এথিক্স কমিটি অনৈতিকভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে। ৫০০ পাতার রিপোর্টে কোথাও নগদ অর্থ নেওয়ার বিষয়ে প্রমাণ দেওয়া হয়নি বলেও জানান মহুয়া মৈত্র।