প্রতিবেদন : আশঙ্কাই সত্যি হতে চলেছে। দীপাবলির পরই বদল আসতে চলেছে বাংলার আবহাওয়ায়। উৎসব ভালয়-ভালয় কাটলেও ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার (Cyclone- heavy rain) পর ঘনিয়ে আসতে চলেছে দুর্যোগ। আলিপুর হাওয়া অফিস তাদের পূ্র্বাভাসে জানিয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে হানা দিতে পারে ঘূর্ণিঝড়। থাইল্যান্ড উপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণাবর্ত পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে হানা দিতে পারে ঘূর্ণিঝড়রূপে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা প্রবল। তবে সেই সম্ভাবনা স্পষ্ট হবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে। পূর্বাভাস, একটি শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে থাইল্যান্ড উপসাগরে। তা পূর্ব আন্দামান সাগরে প্রবেশ করবে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে। ফলে আন্দামানে ভারী থেকে অতি-ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। তারপর তা বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে যত অগ্রসর হবে, ততই শক্তি সঞ্চয় করতে থাকবে। ক্রমেই তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। ১৫ নভেম্বর সেই গভীর নিম্নচাপ উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে আরও কিছুটা শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone- heavy rain) পরিণত হবে। আবহবিদরা জানিয়েছেন, ১৭ নভেম্বর পুরী থেকে চট্টগ্রামের মধ্যে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। আছড়ে পড়ার আগে ঘূর্ণিঝড়টির কিছুটা শক্তিক্ষয় হবে। ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে তার নাম হবে ‘মিধিলি’। তবে তা পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। ওড়িশা থেকে বাংলাদেশের মধ্যে কোনও উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি।
আরও পড়ুন- প্রয়াত তৃণমূল কাউন্সিলর রামপেয়ারি রাম