নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি: আলোর ঝরনাধারায় দীপান্বিতার আরাধনায় মেতেছে দিল্লি। দীপাবলির রাতে যখন উত্তর ভারতের বেশিরভাগ অঞ্চলে লক্ষ্মী ও গণেশের উপাসনা হয়, তখন দিল্লির প্রবাসী বাঙালিরা মেতে ওঠে কালীপুজোয় (Delhi- Kali puja)।
দিল্লির গোবিন্দপুরী, সিআর পার্ক, নয়ডা, গুরুগ্রাম এলাকায় কালীপুজোকে (Delhi- Kali puja) ঘিরে বিপুল সংখ্যক ভক্তসমাগম হয়। চিত্তরঞ্জন পার্ক কালীমন্দির ছাড়াও নয়াদিল্লির মাতৃমন্দির বাঙালি সংস্কৃতি, ধর্মীয় ও সামাজিক কার্যকলাপের একটি প্রধান কেন্দ্র। ১৯৬৯ সাল থেকে প্রবাসী বাঙালিদের উদ্যোগে এখানে চলছে মা কালীর আরাধনা। ১৯৮৪ সাল থেকে ময়ূরবিহার পূর্ব দিল্লির কালীবাড়ি হয়ে উঠেছে বাঙালি সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র। ময়ূরবিহার কালীবাড়িতে প্রতি অমাবস্যায় মা কালীর বিশেষ পুজো হয়। কালীপুজোর রাতে হাজার হাজার ভক্তসমাগম হয় দিল্লির রোহিণী কালীবাড়ি, পূর্বাশা কালীমন্দির, দ্বারকা কালীবাড়ি সহ রাজধানীর একাধিক মন্দিরগুলিতে। মা কালীর আরাধনা হয় দিল্লির রামকৃষ্ণ মিশনেও।
রাজধানী দিল্লির বিশেষত্ব হল কালীমন্দিরগুলিকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে প্রবাসী বাঙালিদের বসবাস। তাই এখানকার কালীপুজোতে প্যান্ডেলের রমরমা নেই, রয়েছে সাবেক রীতিনীতি আঁকড়ে ধরে ভক্তিভরে মায়ের আরাধনা এবং পুজোর পরে মাঝরাতে ভোগ খাওয়াদাওয়ার বন্দোবস্ত।
আরও পড়ুন- দূষণে হাঁসফাঁস দিল্লি