অমানবিক! শিকল দিয়ে বেঁধে নাবালককে নির্যাতন যোগীরাজ্যে

ফের নজরে উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)। মাদ্রাসায় (Madrasa) পাঠরত এক নাবালকের সাথে অমানবিক আচরণ করার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে

Must read

ফের নজরে উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)। মাদ্রাসায় (Madrasa) পাঠরত এক নাবালকের সাথে অমানবিক আচরণ করার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের মাদ্রাসায় ১০ বছরের ছেলেটিকে শিকল দিয়ে বেঁধে মারধর করা হয়েছে। সাহারানপুর জেলার টিট্রন এলাকার মাদ্রাসায় শিকল দিয়ে বেঁধে নাবালক ছেলেটিকে প্রায় দুই দিন খাবার খেতে দেওয়া হয়নি। কোনোভাবে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে মোহাম্মদপুর গুর্জার গ্রামের বাসিন্দা রামকুমারের বাড়িতে পৌঁছয় সে।

আরও পড়ুন-বেপরোয়া গতির গাড়ির সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কায় মুসৌরি যাওয়ার পথে মৃত ৬

শিকলে বাঁধা অবস্থায় এই নাবালককে দেখে গ্রামবাসীরা হতবাক হয়ে যায় এবং শিশুটিকে এই সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করে। শিশুটি তাদের বলে যে সে পার্শ্ববর্তী গ্রাম বাল্লুর বাসিন্দা এবং সে মাদ্রাসায় কি যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে গেছে তার বর্ণনাও দিয়েছে। নাবালকের কাছ থেকে বিশদ বিবরণ নেওয়ার পরে গ্রামবাসীরা তার আত্মীয়দের ফোন করে। তার পরিবারের সদস্যরা গ্রামে পৌঁছে শিশুটিকে সঙ্গে নিয়ে যায়। তারা শিশুটিকে নিয়ে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। প্রায় দুই দিন মাদ্রাসার ভেতরে আটকে রেখে অমানবিকভাবে মারধরের অভিযোগ করেন শিশুটি। পুলিশ মাদ্রাসার প্রধান এবং শিশুর দাদুর বিরুদ্ধে জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট ২০১৫র ৭৫ ধারা সহ প্রাসঙ্গিক ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

আরও পড়ুন-নৈহাটিতে বড়মার মন্দিরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দিলেন পুজো, করলেন আরতি

প্রসঙ্গত, শিশুটির বাবা বিহারে নৌকা চালানোর কাজ করেন এবং তার মা তাকে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতে পাঠান। তিনি আরও জানান যে মাদ্রাসায় তার জন্য খাবার পাঠানো সত্ত্বেও তার ছেলেকে খাবার দেওয়া হয়নি। মাদ্রাসার তরফে বলা হয় যে শিশুটিকে খারাপ সঙ্গ থেকে দূরে সরিয়ে তার মধ্যে কিছু মূল্যবোধ জাগাতে তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। তবে মাদ্রাসা প্রধান কেন তাদের সন্তানের শাস্তির বিষয়ে তার পরিবারকে জানায় নি সেই বিষয়ে মুখ খোলেন নি। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে পরিবারের অভিযোগ নথিভুক্ত করেছে এবং বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্তদের ধরতে একটি দল গঠন করেছে। অভিযুক্তরা অপরাধ করে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং দোষীদের রেহাই দেওয়া হবে না এমন প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে তবে সেটা বাস্তবে কতটা কার্যকর হবে সেই বিষয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।

Latest article