প্রতিবেদন : মালদার চাঁচলে আজও ৮ কালীর বিসর্জন হয় প্রতিমাকে মাথায় করে দৌড়ে। মাথায় প্রতিমা নিয়ে এই অভিনব ‘কালী দৌড়’ প্রতিযোগিতা চলে আসছে সাড়ে তিনশো বছর ধরে। উদ্যোক্তারা এই দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেন নিজেদের পূজিত কালীপ্রতিমাকে মাথায় নিয়ে ঘাটের উদ্দেশ্যে। আর সেই দৌড় দেখতে রীতিমতো ভিড় করলেন মানুষ চাঁচলের মালতীপুরে। রাজা নেই, কিন্তু আছে তাঁর প্রচলিত রীতি।
আরও পড়ুন-সৌগত ও ৩০ কাউন্সিলরকে ভাইফোঁটা চন্দ্রিমার
ঐতিহ্যবাহী সেই কালী দৌড় প্রতিযোগিতায় এলাকার ৮ কালীপ্রতিমাকে নিয়ে দৌড়ন এলাকাবাসী। আর তা ঘিরে সম্প্রীতির আবহ ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে। প্রায় ৩৫০ বছর আগে চাঁচলের তৎকালীন রাজা শরৎচন্দ্র রায়চৌধুরী চালু করেন প্রতিযোগিতা। একে ঘিরে প্রচলিত কাহিনি হল, সে সময় মালতীপুরে ছিল একটিমাত্র পুকুর। মালতীপুর কালীবাড়ি লাগোয়া সেই পুকুরেই বিসর্জন দেওয়া হত একাধিক প্রতিমা। শরত্চন্দ্র সুষ্ঠুভাবে প্রতিমা নিরঞ্জনের লক্ষ্যে কালীপুজোর পরের দিন সন্ধ্যায় মালতীপুর বাজারে শুরু করেন কালী দৌড় প্রতিযোগিতা।
আরও পড়ুন-বৈচিত্রে আর জাঁকজমকে পিছিয়ে নেই নৈহাটির পুজো
প্রতিযোগিতার নিয়ম হল যে প্রতিমা অক্ষুণ্ন থাকবে, সেটিই প্রথম বিসর্জন হবে কালীদিঘিতে। আজও একইভাকে সেই দৌড়ের রীতি চলছে। সোমবার এলাকার আটটি কালী নিয়ে হল ঐতিহ্যবাহী দৌড় প্রতিযোগিতা। ছিল বুড়ি কালী, চুনকা কালী, বাজারপাড়া কালী, আম কালী, হ্যান্টা কালী, হাট কালী ও শ্যামা কালী। পুজো কমিটি ও এলাকাবাসী একসঙ্গে প্রতিমাগুলিকে কাঁধে নিয়ে ছুটলেন ঘাটের দিকে। বাজার এলাকা পরিক্রমা করে প্রতিমাগুলিকে নিয়ে যাওয়া হল মালতীপুর কালীবাড়ি লাগোয়া কালীদিঘিতে। প্রতিযোগিতা উপভোগ করতে ভিড় জমালেন দূরদূরান্তের মানুষ।