ধর্ষিতা ‘সুখী বিবাহিত’ জীবন কাটাচ্ছে, কমল ধর্ষকের সাজা

১৯৯৬ সালে ২২ অক্টোবর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দায়ের করা হয়। ১১ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের ফলে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়ে

Must read

১৯৯৬ সালে ২২ অক্টোবর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দায়ের করা হয়। ১১ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের ফলে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়ে। অভিযুক্ত ও তাঁর স্ত্রী নাবালিকার গর্ভপাতের জন্য ১০ হাজার টাকা দিতে চায়। কিন্তু মেয়েটির পরিবার সেই টাকা নেয়নি। বিষয়টি নিম্ন আদালতে বিচারের জন্য যায়। মামলাটি নিম্ন আদালতে খাণ্ডয়ার ট্রায়াল কোর্টে ওঠে। আদালত দোষী ব্যক্তিকে খালাস করে দেয়। এরপর রাজ্য সরকার হাইকোর্টে আবেদন করে। হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করে দোষী ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেয়।

আরও পড়ুন-আট কালী মাথায় নিয়ে বিসর্জনের দৌড় প্রতিযোগিতায় মানুষের ঢল

কিন্তু বর্তমান অবস্থায় সাজা কমিয়ে দিল শীর্ষ আদালত। এর আগে বিচারপতি বিআর গভাই, পিএস নরসিমা এবং অরবিন্দ কুমারের একটি বেঞ্চ ভারতীয় দণ্ডিধির ৩৭৬ ধারায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে। এই ঘটনার পরে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যান অভিযুক্ত। যাবজ্জীবন সাজা খাটছিলেন অভিযুক্ত। এই মুহূর্তে সেই নাবালিকা সুখী দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করছে। তাই তারা মামলাটি আর এগিয়ে নিয়ে যেতে রাজি নয়।

আরও পড়ুন-বৈচিত্রে আর জাঁকজমকে পিছিয়ে নেই নৈহাটির পুজো

নিগৃহীতার পক্ষের আইনজীবী আদালতে জানিয়ে দেন, অভিযোগকারী আর মামলা এগিয়ে নিয়ে যেতে রাজি নন। তিনি সুখী বিবাহিত জীবন অতিবাহিত করছেন। অভিযুক্ত ইতিমধ্যেই পাঁচ বছরের বেশি সাজা খেটেছেন। এই মামলায় শীর্ষ আদালত পরিস্থিতি বিবেচনা করে জানায়,’আমরা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬’ নম্বর ধারা অনুযায়ী দোষীর শাস্তি বজায় রাখছি। তবে আমার দেখছি দোষী ইতিমধ্যে যে সাজা খেটেছেন তা যথেষ্ট।’

Latest article