টানা ৪ দিন পরেও উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর টানেলের (Uttarkashi Tunnel Collapse) মধ্যে আটকে পড়া ৪০ জন শ্রমিককে উদ্ধার করতে না পারায় টানেলের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে এলাকার শ্রমিকরা। তবে উদ্ধারকার্য বুধবারও অব্যাহত রয়েছে। তবে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার কাজে একের পর এক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। উদ্ধারকারী দলের তরফে জানানো হয়, সুড়ঙ্গের মধ্যে ফের ধস নামার কারণেই উদ্ধারকার্যে দেরি হচ্ছে। বুধবার দিল্লি থেকে এয়ারলিফট করে আনা নতুন মেশিনের জন্য টানেলের ভিতরে আলাদা একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে বলে সরকারিভাবে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে ২০১৮ সালে থাইল্যান্ডের একটি গুহায় আটকে পড়া শিশুদের বাঁচাতে সাহায্যকারী একটি দল-সহ থাইল্যান্ড এবং নরওয়ের বিশেষ একটি টিমকেও এই উদ্ধারকার্যের সাহায্যের জন্য বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন-উত্তরবঙ্গের ৫ জেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণে ৫০০ কোটির প্রকল্প রাজ্যের
তবে ক্রমাগত পাহাড়ের ধস এবং উন্নয়নের নামে বিভিন্ন প্রকল্পের কারণে যেভাবে প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে তাতে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে সিল্কিয়ারা টানেলের (Uttarkashi Tunnel Collapse) বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট বা ডিপিআর নিয়ে। যেখানে টানেল নির্মাণে এলাকার পাথরের ধারণক্ষমতা উপেক্ষা করা হয়েছে। প্রশ্ন তুলেছে প্রকল্পে পরামর্শক হিসাবে কাজ করা দুটি প্রতিষ্ঠানই। এদের মধ্যে একটি কোম্পানি তাদের ওয়েবসাইটে ডিপিআরের ত্রুটিগুলি উল্লেখ করেছে।
উল্লেখ্য, সুড়ঙ্গে ভূমিধসের ঘটনার পর জানা গিয়েছে যে এই টানেলে ক্যাভিটি (ফাঁপা জায়গা) ভাঙার কারণে ভূমিধসের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগেও টানেল ক্যাভিটি ফেটে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। বর্তমানে শ্রমিকরা সুড়ঙ্গে আটকা পড়লে বিষয়টি সামনে আসে।