প্রতিবেদন : মাত্র কয়েক গজের মধ্যেই একদিকে স্কুল, অন্যদিকে হাসপাতাল, আর তার মাঝে হামাসের (Hamas) সর্বোচ্চ কমান্ডারের বাড়ি। তবে বাড়িটা শুধু নামেই, আসল ঘাঁটি ভূগর্ভে। বাড়ির ২০ মিটার নিচ থেকে সোজা টানেল চলে গিয়েছে হাসপাতালের বেসমেন্টে। টানেলের প্রবেশপথে রয়েছে বুলেটপ্রুফ দরজা। পণবন্দিদের আটকে রাখার পাশাপাশি হামাস জঙ্গিদের জন্য সবরকম সুযোগসুবিধা রয়েছে এই টানেল ও হাসপাতালের বেসমেন্টে। এমনকী জানা যাচ্ছে, ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে এই বেসমেন্টে থেকেই। হাসপাতালই যে হামাসের অন্যতম ঘাঁটি সে ভিডিও প্রকাশ্যে এনে বিশ্বকে বার্তা দিল ইজরায়েল সেনা। ইজরায়েলি সেনা মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারির তরফে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, হামাস জঙ্গি নেতার বাড়ি থেকে মাত্র ১৮৩ মিটার দূরে গাজার অন্যতম বড় রনতিসি হাসপাতাল। অন্যদিকে মাত্র কয়েক গজ দূরে স্কুল। আর এই বাড়ির নিচ থেকে টানেল চলে গিয়েছে সোজা হাসপাতালে। এই টানেলেই লুকিয়ে ছিল জঙ্গিরা, এখান থেকেই চালানো হয় হামলা। আটকে রাখা হয়েছিল পণবন্দিদের।
মাটি থেকে ২০ মিটার নিচে এক টানেলে বিদ্যুৎ আসে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে। এরপর সেনা মুখপাত্র সেখান থেকে চলে যান সোজা হাসপাতালের বেসমেন্টে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সমস্তরকম সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সাজানো এই বেসমেন্ট। যেখানে রান্নাঘর, স্নানঘর, বিলাসবহুল থাকার জায়গা, মিটিং রুম। পণবন্দিদের যে এখানেই রাখা হয়েছিল তারও প্রমাণ তুলে ধরা হয় ওই ভিডিওতে। শিশুর দুধের বোতল, ডাইপার, মহিলার পোশাক, চেয়ারের সঙ্গে বাধা দড়ি, এমনকী ৭ অক্টোবর যে মোটরবাইক ব্যবহার করে ইজরায়েলে ঢুকেছিল হামাস (Hamas) সেই বাইকও দেখা যায় বেসমেন্টে। শুধু তাই নয়, ৭ অক্টোবর কীভাবে ইজরায়েলে হামলা চালানো হবে তার রুটম্যাপও ছিল। এইসব তুলে ধরে ওই সেনাকর্তার বার্তা, হামাস হাসপাতাল ব্যবহার করছে… হাসপাতাল থেকে গ্রেনেড রকেট ও গুলি ছুঁড়ছে মানুষ। এটাই হামাস। বিশ্বকে বুঝতে হবে ইজরায়েল কার বিরুদ্ধে লড়ছে।
আরও পড়ুন- উত্তরবঙ্গের ৫ জেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণে ৫০০ কোটির প্রকল্প রাজ্যের