প্রতিবেদন : তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আর এন রবিকে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের কড়া তিরস্কারের মুখে পড়তে হল। বিধানসভায় গৃহীত বিলে রাজ্যপাল অনুমোদন দিতে দেরি করায় তামিলনাড়ু সরকার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার শুনানির সময় শীর্ষ আদালত প্রশ্ন তোলে, তিন বছর ধরে কী করছিলেন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল?
আরও পড়ুন-পূর্বিতায় তিন ঘণ্টা জেরা প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎকে
তামিলনাড়ু সরকারের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী মুকুল রোহাতগি আদালতকে জানান, কোনও কারণ না দেখিয়ে গত সপ্তাহে রাজ্যপাল ১০টি বিল রাজ্য সরকারের কাছে ফেরত পাঠিয়েছেন। তিনি জানান, রাজ্যপাল বলেছেন, আমি সম্মতি দিচ্ছি না। এর মাধ্যমে রাজ্যপাল সংবিধানের প্রতিটি শব্দ লঙ্ঘন করেছেন। তামিলনাড়ু বিধানসভা শনিবার একটি বিশেষ অধিবেশনে বসে সমস্ত বিল পুনরায় পাশ করিয়ে আবার রাজ্যপালের কাছে প্রেরণ করেছে। তখন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ প্রশ্ন করে, এই বিলগুলি ২০২০ সাল থেকে বিচারাধীন ছিল। রাজ্যপাল তিন বছর ধরে কী করছিলেন? এতদিন জানাননি কেন?
আরও পড়ুন-এবার মাইক্রোসফটে যোগ দিচ্ছেন অল্টম্যান? সত্য নাদেলার ঘোষণায় চমক
রোহাতগি বলেন, প্রতিবার, আমরা (নির্বাচিত রাজ্য সরকার) সুপ্রিম কোর্টে আসতে পারি না। রাজ্য সরকারের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, বিধানসভা দশটি বিল পুনরায় পাশ করিয়ে রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়েছে। গত অক্টোবর মাসে পাঁচটি বিল পাঠানো হয়েছিল। সুতরাং পনেরোটি বিল রাজ্যপালের কাছে রয়েছে। যদি অক্টোবরের পাঁচটি বিলের কথা আমরা এখন বাদ দিই তবে দশটি বিল মুলতুবি রয়েছে। বিলগুলি পুনরায় পাশ করার পরে (এমনকী ভুল বিল পাশ হলেও… আইনসভার তা করার অধিকার রয়েছে) রাজ্যপালের এই বিল আটকে রাখার কোনও অধিকার নেই। শীর্ষ আদালত সোমবার সর্বশেষ পরিস্থিতি শুনে বলেছে, বিধানসভা আবার বিলগুলি পাশ করে গভর্নরের কাছে প্রেরণ করেছে। রাজ্যপাল এরপর কী করেন, আমরা তা দেখব। শুনানি ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত বিরক্তির সঙ্গে বলে, গত তিন বছর থেকে রাজ্যপাল কী করছিলেন? কেন এই মামলাগুলি সুপ্রিম কোর্টে আসবে?