সংবাদদাতা, হুগলি : দিনভর তিনি ডাক্তার, আর রাত হলেই তিনি হয়ে ওঠেন মৃৎশিল্পী। যে হাত স্টেথোস্কোপ দিয়ে রোগী দেখে, সেই হাতেই আবার রূপদান হয় হৈমন্তিকার। হুগলির ভদ্রেশ্বরের চিকিৎসক বিপ্লবেন্দু তালুকদার নিজের হতেই তৈরি করেন জগদ্ধাত্রী প্রতিমা। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের চিকিৎসক প্রফেসর বিপ্লবেন্দু তালুকদার। প্রতিবছর তাঁর বাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজোতে দেশ-বিদেশ থেকে চিকিৎসকরা আসেন ডাঃ তালুকদারবাবুর হাতের কাজ দেখতে। কারণ ঠাকুর তৈরি করা তাঁর কাছে এক নেশার মতন।
আরও পড়ুন-জগদ্ধাত্রী পুজোতেও থিমের জোয়ারে ভাসছে অশোকনগর
মাটির টানে হাজারো পরিশ্রমের মধ্যেও সারারাত জেগে তিনি নিজে হাতে বানান দেবী প্রতিমা। ছোটোবেলা থেকেই বিপ্লবেন্দুবাবুর মৃতশিল্পের প্রতি বিশেষ আগ্রহ। তাঁর যখন ৭ বছর বয়স, সেই সময় থেকেই তিনি নিজের হাতে ঠাকুর তৈরি করতেন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে প্রতিমার দৈর্ঘ্য ও উচ্চতা। একেবারে কাঠামোর উপরে খড় বাঁধা থেকে শুরু করে মাটি লাগানো, রং করা, চালচিত্র তৈরি— সব কাজই একার হাতে করেন তিনি। বিপ্লবেন্দুবাবুর স্ত্রী সঞ্চয়িতা তালুকদার জানান, রাতে বাড়ি ফিরে রাত আড়াইটা-তিনটে পর্যন্ত ঠাকুর গড়েন তিনি।
আরও পড়ুন-জেলায় জেলায় বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল চরমে, মহিষাদলে বিজেপির গুন্ডামি সমবায় সভায়
পুজোর আগে কয়েকটা দিন তাঁর ঘুমোবারও সময় নেই। বিপ্লবেন্দু বাবুর দাদা বলেন, ছোটো থেকেই ভাইয়ের কাদামাটি নিয়ে খেলার শখ। সেই থেকেই ঠাকুর বানানোর প্রতি আগ্রহ, যা এখনও ভাটা পড়েনি। বাড়ির পুজোর প্রতিমা নিজে হাতে তৈরি করে বরাবর।