প্রতিবেদন : জ্বালানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে সংকটে রাজ্যের পরিবহণ শিল্প। রাস্তা থেকে উঠে যাচ্ছে একের পর এক বেসরকারি বাস। এমত অবস্থায় কীভাবে রাজ্যের পরিবহণ শিল্পকে বাঁচানো যায় তা খুঁজে দেখতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। বাস মালিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে সব তরফের কাছে গ্রহণযোগ্য সমাধানসূত্রের সন্ধান চলছে। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের ওপর চাপ বাড়িয়ে বাস ভাড়া বাড়াতে রাজি নয়।
আরও পড়ুন-হুঁশিয়ারি ফিরহাদের
কিন্তু বাস মালিকদের সমস্যা সম্পর্কেও সরকার ওয়াকিবহাল। তাই তাঁদের ওপরে আর্থিক বোঝা কমানোর বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হচ্ছে। রাস্তায় বাসের সংখ্যা কম কেন, তা জানতে চেয়ে বাস মালিক সংগঠনগুলিকে ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছে রাজ্য সরকার।
কোন রুটে কত বাস রোজ পথে নামছে তার হিসাবও তলব করা হয়েছে। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার বিকেলে নবান্নে পরিবহণ দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেখানে সম্ভাব্য সমস্ত রকমের সমাধানসূত্র নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। এই বৈঠক নিয়ে সরকারিভাবে কেউ মুখ না খুললেও সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার বাস সমস্যার তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘস্থায়ী দু’রকম সমস্যার সমাধানের উপরে জোর দিচ্ছে।
আরও পড়ুন-করোনা রুখতে রাজ্য জুড়ে তৎপরতা প্রশাসনের
বেসরকারি পরিবহণ মালিকদের আশু স্বস্তি দিতে আর্থিক প্যাকেজ দেওয়ার কথা ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। জ্বালানির দাম আগামী দিনে আরও বাড়বে বলে ধরে নিয়েই এগোচ্ছে রাজ্য সরকার। সেক্ষেত্রে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে বিকল্প জ্বালানি ব্যবহারের উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। আগামী দু’বছরের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত গণপরিবহণ সিএনজি চালিত করে তুলতে চাইছে রাজ্য সরকার। এজন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এখন সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এগোচ্ছে রাজ্য সরকার।