ভুবনেশ্বর, ২১ নভেম্বর : ঘরের মাঠে অপরাজিত দৌড় থামল ভারতের (Qatar vs India)। কুয়েতের মাঠে গিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপ এবং ২০২৭ এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে জয় ছিনিয়ে এনেছিল ইগর স্টিমাচের দল। কিন্তু মঙ্গলবার দেশের মাটিতে এশিয়া চ্যাম্পিয়ন কাতারের বিরুদ্ধে পেরে উঠল না ভারত। ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ খেলা কাতারের কাছে ০-৩ গোলে হার সুনীল ছেত্রীদের। মাঠে বসে ভারতের হার দেখলেন আর্সেন ওয়েঙ্গার। কিংবদন্তি কোচের সামনে ছন্নছাড়া ফুটবল খেলল স্টিমাচের ছেলেরা।
তিনদিন আগেই ক্রিকেটের বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের হারে হৃদয় ভেঙেছিল দেশবাসীর। এদিন সুনীলদের হয়ে গলা ফাটাতে নীল জার্সিতে কলিঙ্গ স্টেডিয়ামের গ্যালারি ভরিয়েছিলেন সমর্থকরা। কলিঙ্গের গ্যালারিও যেন নীল সমুদ্র। ছেত্রী…ছেত্রী ধ্বনিতে মুখরিত স্টেডিয়াম। কিন্তু হতাশ হয়েই ফিরলেন সমর্থকরা। ভারতীয় দল লড়াই করলেও কাতারকে থামানোর জন্য তা যথেষ্ট ছিল না।
ম্যাচের আগের দিন সুনীলদের কোচ বলেছিলেন, এই ম্যাচ থেকে তাঁদের হারানোর কিছু নেই। বরং সবটাই অর্জনের। ভারত ভয়ডরহীন ফুটবল খেলবে বলে প্রতিপক্ষকে বার্তা দিয়েছিলেন স্টিমাচ। কিন্তু ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৬২ নম্বরের কাতারের সঙ্গে ১০২ নম্বরের ভারতের শক্তির পার্থক্যটা মাঠেই বোঝা গেল। প্রথম মিনিট থেকে ভারতীয় রক্ষণে আক্রমণের ঝড় তুলে গোল তুলে নেয় কাতার।
খেলা শুরুর ২ মিনিটের মধ্যেই গোলের সুযোগ পায় কাতার। অল্পের জন্য রক্ষা পায় ভারত। কিন্তু ৪ মিনিটের মধ্যেই গোল করে এগিয়ে যায় কাতার। অনিরুদ্ধ থাপার ভুলে গোল করে যান মুস্তফা মাশাল। পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেও সুযোগ নষ্টের খেসারত দিতে হয় ভারতকে। প্রথমার্ধের শেষদিকে অনিরুদ্ধ থাপার জমি ঘেঁষা শট গোলে রাখতে পারলে স্কোরলাইন ১-১ হতে পারত (Qatar vs India)। কিন্তু তা বাইরে মারেন তিনি। বিরতিতে ওয়েঙ্গার বলেন, ‘‘প্রতিপক্ষকে প্রচুর জায়গা দিয়েছে ভারত। সেটা কমাতে হবে।’’ দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আলমোয়েজ আলির গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে কাতার। সেখানেই ম্যাচের ভবিষ্যৎ স্পষ্ট হয়ে যায়। খেলার শেষ লগ্নে পরিবর্ত ইউসুফ আবদুরিসাগ তৃতীয় গোলটি করেন। গ্রুপে দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে কাতার। ভারত ৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে।
আরও পড়ুন-চারে চার, লিগে ছুটছে মহামেডান