প্রতিবেদন : ৭ অক্টোবরের পর এই প্রথম চুক্তি করে গুলি, বোমার শব্দ বন্ধ হচ্ছে। আগামী চারদিনের জন্য যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মতি জানিয়েছে ইজরায়েল এবং হামাস। কাতারের মধ্যস্থতায় সম্পন্ন হয়েছে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি। চুক্তির অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে ৫০ জন পণবন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে হামাসের তরফে।
আরও পড়ুন-ইন্টারভিউ নিয়ে রামমন্দিরের পুরোহিত নিয়োগ!
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতভর নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা বৈঠক করে। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পণবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার জন্য যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দেওয়া হবে। এই পদক্ষেপ কঠিন হলেও বর্তমান সময়ে এটাই সঠিক এবং সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে নেতানিয়াহুর সরকার।
আরও পড়ুন-জল সমস্যার ইস্যু উপেক্ষিতই
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, ৫০ জন ইজরায়েলি এবং বিদেশি পণবন্দি নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে হামাসের তরফে। তারমধ্যে রয়েছেন মহিলা এবং শিশুরাও। আর সে-কারণেই আগামী চারদিন বন্ধ থাকবে যুদ্ধ। পাশাপাশি সাফ জানানো হয়েছে, এই চুক্তির পর প্রতি ১০ জন করে পণবন্দি নাগরিককে মুক্তি দিলে আরও একদিন করে অতিরিক্ত যুদ্ধবিরতির পথে হাঁটবে ইজরায়েল। নেতানিয়াহু প্রশাসনের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। এদিন ইজরায়েলের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর হামাসের তরফ থেকেও একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, মানবিকতার স্বার্থে আমরা এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে আমরাও দেখতে চাই ১৫০ জন প্যালেস্টাইনিকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন-আশার আলো, আর কয়েক ঘণ্টা
জানা যাচ্ছে, আনুষ্ঠানিকভাবে এই যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়িত হচ্ছে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। এদিকে হামাসের তরফে ৫০ পণবন্দিকে মুক্তির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার জি-২০ ভার্চুয়াল সামিটে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘পণবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়টিকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা আশা করি সমস্ত পণবন্দিদের খুব তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেওয়া হবে।’’
আরও পড়ুন-ধাক্কা খেল এনআইএ, মামলা কাড়ল সুপ্রিম কোর্ট ছত্তিশগড়ে ঝিরাম ঘাটি গণহত্যা
উল্লেখ্য, সোমবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধবিরতির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেন, পণবন্দিদের মুক্তি দেওয়া নিয়ে শীঘ্রই চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে চলেছে। তবে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনার কথা স্বীকার করেছিলেন খোদ হামাসের পলিটিক্যাল চিফ ইসমাইল হানিয়ে। যদিও তখন চুক্তির শর্ত নিয়ে নীরব ছিলেন তিনি।