সংবাদদাতা, নদিয়া : এ বছর জগদ্ধাত্রী পুজোয় মানুষের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস দেখা যায় কৃষ্ণনগরে। তবে প্রতিমা নিরঞ্জনের আগে ঘট বিসর্জনে রণপা, বাউল, কীর্তনের পাশাপাশি চন্দ্রযান থ্রি, ডেঙ্গি সচেতনতা, সবুজ বাঁচান, ক্ষুদিরামের ফাঁসি, গোপাল ভাঁড়ে মেতে উঠল দর্শনার্থীরা। ঘট বিসর্জন উপলক্ষে বুধবার সকাল থেকে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়। যে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘট বিসর্জনকে কেন্দ্র করে জোর পুলিশি নিরাপত্তা ছিল।
আরও পড়ুন-সরকারি সহায়তায় নতুন ছৌদল পাঁচ জেলায়, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে রাজ্যে লোকশিল্পের প্রসার
শহরে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। দুপুর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অগণিত দর্শনার্থীর ভিড় হয়। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মাথা বেড়েছে। পাশাপাশি পুজো বারোয়ারি কমিটিগুলি পুজোর মাঙ্গলিক ঘটের সঙ্গে রকমারি বাজনা সহকারে ও সুসজ্জিত ট্যাবলো শোভাযাত্রার মাধ্যমে নিরঞ্জন ঘাটের দিকে যান। কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর ঘট বিসর্জনের শোভাযাত্রায় বেয়ারাদের কাঁধে করে দেবী যান রাজবাড়ি। সেখান থেকে জলঙ্গি নদীতে গিয়ে হয় নিরঞ্জন। এর আগেই দেবীর মঙ্গলঘট নিরঞ্জনেও শোভাযাত্রা হয়।
আরও পড়ুন-সেনায় যোগ দিতে হুড়োহুড়ি, কঙ্গোয় পদপিষ্ট হয়ে হত ৩১
বিসর্জনের আগে ঘট বিসর্জনের প্রথা একমাত্র কৃষ্ণনগরেই হয়। যা চন্দননগর থেকে কৃষ্ণনগরকে আলাদা করেছে। কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর ভাসান যদি ফাইনাল হয়, তবে ঘট বিসর্জন অবশ্যই সেমিফাইনাল। আটের দশকের মাঝামাঝি এই অনুষ্ঠানের সূত্রপাত। একাধিক ট্যাবলো সহযোগে মঙ্গলঘট বিসর্জনের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা জগদ্ধাত্রী পুজোর দর্শনার্থীদের কাছে আলাদা মাত্রা
এনে দেয়।