সরকারি সহায়তায় নতুন ছৌদল পাঁচ জেলায়, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে রাজ্যে লোকশিল্পের প্রসার

ছৌনাচ মানেই পুরুলিয়ার লোকশিল্প, এটাই জানেন মানুষ। সেই শিল্পকে নিয়মিত উৎসাহ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Must read

সংবাদদাlতা, পুরুলিয়া : ছৌনাচ মানেই পুরুলিয়ার লোকশিল্প, এটাই জানেন মানুষ। সেই শিল্পকে নিয়মিত উৎসাহ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জঙ্গলমহল উৎসবে ছৌ-জাম্প নামে একটি প্রতিযোগিতাও হয় তাঁরই উদ্যোগে। এবার তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় ছৌদল গড়ে উঠেছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি এবং পূর্ব বর্ধমান জেলায়।

আরও পড়ুন-সেনায় যোগ দিতে হুড়োহুড়ি, কঙ্গোয় পদপিষ্ট হয়ে হত ৩১

এই দলগুলির জন্য মুখোশ ও ছৌ-উপকরণ পাঠিয়েছে পুরুলিয়া জেলার তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর। মহিষাসুরমর্দিনী পালার উপযোগী মুখোশ, পোশাক, সাজসজ্জার উপকরণ পাঠাতে ৬ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়। এর ফলে আগামী দিনে নতুন দলগুলিও সরকারি অনুষ্ঠানে ছৌ-প্রদর্শনের সুযোগ পাবে। সেপ্টেম্বরে কলকাতায় অনুষ্ঠিত ছৌ-কর্মশালায় পাঁচ জেলার এই দলগুলি ভাল প্রদর্শন করে। তাই মুখ্যমন্ত্রী তাদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরকে। পুরুলিয়ার হাড়ামজাঙা গ্রামের ছৌ-প্রশিক্ষক সুশান্ত মাহাতো জানান, জেলার ৪ এবং ঝাড়গ্রামের এক প্রশিক্ষক নতুন এই দলগুলিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। এক- একটি দলে রয়েছেন দশ-বারোজন শিল্পী।

আরও পড়ুন-ইন্টারভিউ নিয়ে রামমন্দিরের পুরোহিত নিয়োগ!

পুরুলিয়া থেকে তিনি ছাড়াও প্রশিক্ষক ছিলেন যোধারাম কুমার, সোমনাথ মাহাত ও জলধর বাউরি। নতুন দলগুলির হাতে মুখোশ ও সরঞ্জাম পৌঁছে দিতে তাঁরাও গিয়েছিলেন। জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন,‍‘‘ছৌনাচ বাংলার গর্ব। সেই শিল্পকে সমৃদ্ধ করেছে মুখ্যমন্ত্রীর সহযোগিতা। আগামী দিনে এই শিল্প গোটা বাংলায় প্রসারিত হবে বলে আশা।’’ জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী বলেন,‍‘‘রাজ্য সরকার পাশে দাঁড়ানোয় ভিন জেলার ছৌশিল্পীরা দেখিয়ে দিয়েছেন, তাঁরাও সহায়তা পেলে ছৌ নাচতে পারেন। এটা গৌরবের। আগামী দিনে পুরুলিয়া-সহ অন্যান্য জেলার শিল্পীরাও ছৌকে পেশা হিসাবে নিতে পারবেন।’’

Latest article