প্রতিবেদন : ডিপফেক ইস্যুতে নতুন আইন আনতে চলেছে কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, এই সংক্রান্ত কড়া আইন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এদিন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রী। গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব-সহ অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলির প্রতিনিধিরা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন-৬ লক্ষ হাঁস-মুরগি প্রাণিসম্পদ দফতরের
বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন, চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে। কীভাবে ডিপফেক শনাক্ত করা যায়; কীভাবে মানুষকে ডিপফেক পোস্ট করা থেকে আটকানো যেতে পারে এবং এই ধরনের সামগ্রী ভাইরাল হওয়া থেকে কীভাবে বন্ধ করা যেতে পারে। সেইসঙ্গে কীভাবে একটি রিপোর্টিং মেকানিজম প্রয়োগ করা যেতে পারে যাতে কোনও অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের ব্যবহারকারীরা প্ল্যাটফর্ম এবং কর্তৃপক্ষকে ডিপফেক সম্পর্কে সতর্ক করতে পারে। বাস্তবিকই ‘ডিপফেক’ আজ গণতন্ত্রের জন্য একটি নতুন হুমকি। এর বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলে মনে করছে সরকার। দ্রুত এই বিষয়ে নিয়ম নির্ধারণ করা হবে। ডিপফেক সমস্যার বিরুদ্ধে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন-হরিয়ানায় ১৪২ ছাত্রীকে যৌননিগ্রহ, গ্রেফতার প্রিন্সিপাল
ঘটনাচক্রে বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়াল জি২০ সম্মেলনের বৈঠকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই-এর ক্ষতিকারক প্রভাবগুলি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পরেই কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তিমন্ত্রকের তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে। অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, সরকার আজ থেকেই বিধির একটি খসড়া তৈরি করা শুরু করছে। খুব তাড়াতাড়িই ডিপফেক প্রতিরোধের জন্য নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। পুরনো বিধির কাঠামোকেই সংশোধন করে নতুন নিয়ম অথবা নতুন আইন হিসেবেও এই নয়া বিধিনিষেধ আনা হতে পারে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এই সংক্রান্ত আরও একটি বৈঠক হবে।