প্রতিবেদন : কোচবিহারে শুরু হল রাসমেলা। সোমবার সন্ধ্যায় ২১১তম রাসমেলার উদ্বোধন করলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ, অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী বুলুচিক বরাইক, শিক্ষা দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মন, রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশ চিক বরাইক সহ বিশিষ্ট অতিথিরা৷ কোচবিহারে এ-বছর ২১১তম রাসমেলা।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আসরে স্বাস্থ্য দফতর, অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রিতে নিয়ন্ত্রণ
প্রতিবছরের মতো এ-বছরও ব্যাপক ভিড় হবে এই মেলায়। কোচবিহারের মদনমোহন দেবের রাস উৎসবকে ঘিরেই এই রাসমেলার আয়োজন করা হয়েছে। এই রাসমেলা আপাতত ১৫ দিন চলবে বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিন অনুষ্ঠান মঞ্চে বিশেষ সম্মান জানানো হয় ভারত- বাংলাদেশের মাঝে ছিটমহল বিনিময়ের প্রবীণ নেতা মনসুর আলি ও রাসচক্রের কারিগর আলতাপ মিয়াকে। মনসুর আলিকে শুভেচ্ছা জানান মন্ত্রী শশী পাঁজা। এছাড়াও আলতাপ মিয়াকে শুভেচ্ছা জানান জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের হাতে ফুলগাছের চারা ও ছোট রাসচক্র তুলে দেওয়া হয়েছে কোচবিহার পুরসভার পক্ষ থেকে৷
আরও পড়ুন-মোয়া শিল্পে গতি আনতে কৃষি বিভাগের উদ্যোগ, জয়নগরে শুরু কনকচূড় ধানের চাষ
মন্ত্রী শশী পাঁজা রাসমেলার অনুষ্ঠানে এসে জানান, রাসমেলা বিশাল মেলা। প্রায় তিন হাজার স্টল বসছে। ক্রেতা বিক্রেতা অসংখ্য। এই মেলা বিরাট রোজগারের উপায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদে হেরিটেজ লুক ফুটে উঠেছে কোচবিহারে। সকলেই উপস্থিত আছেন এই বিশাল আয়োজনে। বিভিন্ন জেলা থেকে সবাই ছুটে এসেছেন মেলায়। সকলকে মদনমোহনের রাস উতসবের অনেক শুভেচ্ছা৷ মন্ত্রী আরও বলেন, কোচবিহার পুরসভা অদম্য পরিশ্রম করছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুযোগ করে দিয়েছেন রাসমেলায় আসার জন্য। জেলাশাসকরা অনেক পূণ্য করলে এমন সুযোগ পান এই জেলায় এসে৷ প্রতিদিন যেন সকলের সেবা করতে পারি৷ মদনমোহন মন্দিরে গিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন-কথা রাখলেন অভিষেক, ১০০দিনের বকেয়া না পাওয়া বঞ্চিতদের বাড়িতে পৌঁছল আর্থিক সাহায্য!
তিনি জানান, কোচবিহার আসার পথে দেখেছি সকলে আসার অপেক্ষায়৷ অহিংসা সহিষ্ণুতার কথা বলেছেন ঠাকুর৷ কোচবিহারকে আলাদা তকমা দেওয়া হয়েছে। এত মন্দির আছে কোচবিহারে। হেরিটেজের বিভিন্ন স্থাপত্যের ছবি জেলাশাসক তাকে দেখিয়েছেন৷ শিক্ষার প্রচার প্রসার হোক৷ রাসমেলাতে অনেক স্বনির্ভর দলের হাতের কাজ বিকোবে। ধর্ম যেমন আছে তেমন রোজগারের জায়গা। কোচবিহার পুরসভার পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই শহরকে হেরিটেজ শহরের সৌন্দর্যকে বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়ায় ধন্যবাদ। এই রাসমেলায় পর্যটকরা আসবেন। মুম্বই-কলকাতা-অসমের শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ জানান, এই উৎসব গর্বের। মদনমোহন ঠাকুর সবাইকে আশীর্বাদ করলেন। মন্ত্রী শশী পাঁজাকে ঘরের এই উৎসবে পেয়ে সবাই খুশি।