নকিব উদ্দিন গাজী সুন্দরবন: সুন্দরবনে পর্যটক টানতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সুন্দরবনের স্পটগুলি সেজে উঠেছে শীতের মরশুমে। আধুনিকীকরণের কাজ চলছে। জোর দেওয়া হয়েছে সৌন্দর্যায়নে। তাই সুযোগ বুঝে ব্যাগপত্র গুছিয়ে বেড়িয়ে পড়তে পারেন পর্যটনে। সুন্দরবনের গভীর অরণ্যের মাঝে কিছুটা সময় কাটাতে দু-তিনদিনের গন্তব্য হতেই পারে সুন্দরবন।
আরও পড়ুন-শহরের ঘিঞ্জি এলাকার আগুন নেভাতে আরও ২০টি ছোট গাড়ি
মাথার উপরে নীলাকাশ, নিচে দিগন্তবিস্তৃত শান্ত জলরাশি। লঞ্চ বা ভুটভুটিতে চেপে দু’পাশে সবুজ ম্যানগ্রোভের জঙ্গল দেখতে দেখতে আপনি কখন হারিয়ে যাবেন প্রকৃতির মাঝে। নতুন রূপে সেজে ওঠা ম্যানগ্রোভের অরণ্যের শোভা দেখা যেন এক নৈসর্গিক ব্যাপার। কপাল ভাল থাকলে দেখা মিলতে পারে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, হরিণ, কুমিরেরও। এখন সারাবছরই সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য পর্যটকরা এলেও মূলত দুর্গাপুজোর পর থেকেই পর্যটন মরশুম শুরু হত সুন্দরবনে। গত দু’বছর করোনার কারণে বারেবারে সুন্দরবন ভ্রমণ বন্ধ হয়েছে। এখন সুন্দরবন ভ্রমণে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা। ইতিমধ্যেই বুকিং জোরকদমে চলছে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ক্যানিং, বাসন্তী, গোসাবা-সহ সুন্দরবনের প্রবেশদ্বারগুলিতে তৈরি হয়েছে একাধিক পাকাপোক্ত ঘাট, কংক্রিটের রাস্তা। বন দফতরের উদ্যোগে বসানো হয়েছে কয়েক লক্ষ ম্যানগ্রোভ।
আরও পড়ুন-বিধানসভায় ঘোষণা কৃষি বিপণন মন্ত্রীর, বাড়ছে সুফল বাংলার স্টল
শুধু ভ্রমণ নয়, শীতের শুরুতে যে সমস্ত পর্যটকরা সুন্দরবন ভ্রমণে আসবেন তাঁদের জন্য রাজ্য সরকার একাধিক সুযোগ-সুবিধা রেখেছে। সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে একাধিক লঞ্চ ব্যবস্থা আছে। স্থানীয় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে আদিবাসীদের নৃত্য, টুসু গানের নাচ, ঝুমুর নাচ, ইত্যাদির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে পর্যটকদের জন্য। পর্যটন দফতর ঐতিহাসিক স্থানগুলোর আধুনিকীকরণ করেছে। গোসাবায় রবীন্দ্র স্মৃতিবিজড়িত বেকন বাংলো, হ্যামিলটন সাহেবের বাংলো, পাখিরালয়, সজনেখালি, সুধন্যখালি, নেতিধোপানি, বুড়ির ডাবরি, ঝিঙেখালি, হরিখালি, ঝড়খালি, কৈখালি-সহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রের আধুনিকীকরণ ও সৌন্দর্যায়ন হয়েছে।