প্রতিবেদন : শিশুরা এই সমাজের ভবিষ্যৎ তাই তাদের সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলের। শিশুশ্রম কিংবা শিশুদের অধিকার নিয়ে এখনও পুরোপুরি সচেতন নয় সমাজ। কিছু মানুষ শিশুদের কথা ভেবে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে প্রতিমুহূর্তে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি সমাজকর্মী হতে পারেন আবার সাংবাদিক হিসেবেও মানবিকতার দায়িত্ব তুলে ধরতে পারেন। তাঁদের এই প্রচেষ্টাকে সম্মান জানিয়ে আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবস উপলক্ষে বীরপুরুষ এবং বীরাঙ্গনাদের পুরস্কৃত করল পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা আয়োগ।
আরও পড়ুন-লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিল হাওড়া সদর আইএনটিটিইউসি
দার্জিলিং থেকে সুন্দরবন, কিংবা মহিষাদল থেকে কাকদ্বীপ-জেলা বা শহর বদলে যায় কিন্তু সমাজকে নতুন আশার আলো দেখানোর কাজ যাঁদের প্রত্যেক দিনের জীবনযাত্রার অঙ্গ তাঁদের নিয়েই এবার বিশেষ উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। সুস্থ সমাজকে সাংগঠনিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক দিক থেকে আরও উন্নত করতে পুলিশ অফিসাররা ২৪ ঘণ্টা নিরলস কাজ করে চলছেন। ব্রেভারি অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার যোগ্য তো তাঁরাই। নারী ও শিশু বিকাশ সমাজকল্যাণ দফতর, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে শিশু অধিকারে সমানতালে সহযোগিতা করল ইউনিসেফ।
আরও পড়ুন-বিরাট বিপর্যয়ের পর মোদির স্বপ্নের প্রকল্পের ভবিষ্যৎ এখন অন্ধকারে
কলকাতার মোহরকুঞ্জে বৃহস্পতিবার ৭০০-এরও বেশি মানুষ উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। যার মধ্যে শ’চারেক শিশুর ঝলমলে উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো। প্রতিবছরই আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবস পালন করে বাংলার সরকার। এবার নানা কারণে প্রতিবছরের মতো ২০ বা ২১ নভেম্বর পালন করা সম্ভব না হলেও আজ ৩০ নভেম্বর এই উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিন শিশুশ্রী অ্যাওয়ার্ড পান ১০ জন সাংবাদিক। পশ্চিমবঙ্গের শ্রেষ্ঠ চাইল্ড কেয়ার ইনস্টিটিউটগুলিকেও পুরস্কার দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা। পশ্চিমবঙ্গ শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায়, উপদেষ্টা অনন্যা চক্রবর্তী, গায়ক সৌমিত্র রায়-সহ বিশিষ্টজনেরা।