কেয়ার অব শীত

বাতাসে হালকা শিরশিরানি। শীতের আগমনবার্তার সঙ্গে বদলে যাওয়া লাইফস্টাইল। ঋতু পরিবর্তনের সন্ধিক্ষণে কীভাবে নেবেন ত্বক ও চুলের যত্ন, জানাচ্ছেন শর্মিষ্ঠা ঘোষ চক্রবর্তী

Must read

হাওয়া বদলে নয় আবহাওয়ার বদল। এক বিরক্তিকর সময়। সিজন চেঞ্জ বা ঋতু পরিবর্তনের প্রভাব না চাইতেও সইতে হয় শরীর, ত্বক (Skin) এবং চুলকে। কিন্তু এড়িয়ে গেলে সমস্যা বাড়ে বই কমে না। তাই এই সময় দরকার বিশেষ যত্নের। সিজন চেঞ্জ মুহূর্ত বলতে— হয় শীত থেকে গরমে প্রবেশের সন্ধিক্ষণ, না হয় গরম থেকে শীতে প্রবেশের। দুটো সন্ধিক্ষণেই আবহাওয়া একেবারে আলাদা, সমস্যাও আলাদা— আর আলাদা তার সমাধানও। কিন্তু ঋতুপরিবর্তনের সমস্যা যেটাই হোক, আগে থাকতে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

অয়েলি স্কিন
ত্বকের (Skin) সেবাসিয়াস গ্ল্যান্ড থেকে অতিরিক্ত সিবাম উৎপাদনের জন্য ত্বক তৈলাক্ত হয়। সিবাম হল চর্বি দিয়ে তৈরি একটি তৈলাক্ত পদার্থ যার কাজ ত্বককে সুরক্ষিত ময়েশ্চারাইজড রাখা। কিন্তু অত্যাধিক সিবাম নির্গত হলে তা ত্বকের ক্ষুদ্র ছিদ্রে বা পোরসে আটকে পোরসের মুখ বন্ধ করে দেয়। এর ফলেই অয়েলি স্কিনে ব্রণ থেকে শুরু করে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
যদি আপনার ত্বক সবসময় খুব তেলতেলে থাকে চকচক করে তাহলে ব্লটিং শিট ব্যবহার করে অতিরিক্ত তেলটা শুষে নিন। কারণ এই ধরনের ত্বকে বেশি ঘাম হয় এবং ত্বকে একটা চিটচিটে ভাব তৈরি হয়। এর ফলে শীতে আরও বেশি ময়লা বসবে। মুখ আরও কালো হবে এবং কোনও প্রসাধনী মুখে স্থায়ী হবে না।

কম্বিনেশন স্কিন বা মিশ্র ত্বক
মিশ্র ত্বক (Skin) মানে হল মুখের কিছু অংশ তৈলাক্ত ও চিটচিটে এবং বাকি অংশ শুষ্ক ও খসখসে হয়। সাধারণত মিশ্র ত্বক বা কম্বিনেশন স্কিনে ‘টি জোন’ অর্থাৎ কপাল, নাক ও থুতনির অংশে বেশি তেল নিঃসৃত হয়। আর দুই গালের অংশ শুষ্ক থাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তৈলগ্রন্থি সঙ্কুচিত হয় ও ত্বক প্রাকৃতিকভাবেই শুষ্ক হয়ে যায়।

শুষ্ক ত্বক বা ড্রাই স্কিন
ত্বক থেকে নিঃসৃত ন্যাচারাল অয়েল বা সেবাম ত্বকেই (Skin) ময়েশ্চারাইজারকে লক করে রাখে তাই তখন ত্বক শুষ্ক হতে পারে না। শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে ত্বকে ন্যাচারাল যে অয়েল অর্থাৎ সেবাম থাকে সেটা কম নিঃসৃত হয়। যাঁদের স্কিনে ন্যাচারাল এই অয়েল কম থাকে তাদেরই ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।
ত্বক অনেকটা রাফ দেখায় সঙ্গে ইচিনেসও থাকতে পারে। সব সময়ই ত্বক শুষ্ক হয়ে থাকে। সাদা সাদা ছোপ দেখা যায়। চোখের নিচে ফাইন লাইনস চলে আসে। অতিরিক্ত ড্রাই হলে অনেক সময় চামড়া ওঠে। এই ত্বকে বয়সের ছাপ আসে তাড়াতাড়ি।

সাধারণ ত্বক
বিশেষজ্ঞেরা বলেন স্বাভাবিক ত্বক (Skin) বলে কিছু হয় না। এক কথায় বলতে গেলে, যে ত্বকের যত্নে বেশি সমস্যা পোহাতে হয় না সেটাই নরমাল স্কিন। মুখে না থাকে তৈলাক্ত ভাব, না থাকে শুষ্কভাব। দাগছোপ বিহীন সুস্থ, সুন্দর ত্বক। তবে এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই যে শীতকালে নরমাল স্কিনে শুষ্কতা আসে না। শীতকালে যে কোনও ত্বকেই সমস্যা আসতে পারে তাই যত্নের অবশ্যই প্রয়োজন।

আরও পড়ুন- শেষ হল না যুদ্ধবিরতি, ফের শুরু হামাস-ইজরায়েল সংঘর্ষ, উত্তপ্ত গাজা

ক্লেনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং
ক্লেনজিং, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিং প্রতিটা ত্বকের ক্ষেত্রেই জরুরি। সেই সঙ্গে এক্সফলিয়েশন বা স্ক্রাবিং।
সেই সঙ্গে কমপক্ষে এসপিএফ ৩০-যুক্ত সানস্ক্রিন সবধরনের ত্বকের জন্য জরুরি। শীতকালে বাইরে বেরোনোর অন্তত আধঘণ্টা আগে সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিন এরপর বেরোন। ছাতা ব্যবহার করুন। শীতের রোদ আরামদায়ক বলেই ত্বক বেশি পুড়ে যায় আপনার অজান্তেই।

ত্বক যখন তৈলাক্ত
প্রতিদিন অন্তত ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল খান। সুস্থ ত্বকের (Skin) জন্যে জলের কোনও বিকল্প নেই। জলশূন্যতা ত্বকের মলিনতা আরও বাড়িয়ে দেয় আর তৈলাক্ত ত্বকে এর প্রভাব বেশি পড়ে।
সেই সঙ্গে ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে জল খাওয়া জরুরি।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ক্লেনজিং মিল্ক ব্যবহার করুন। মধু খুব ভাল ক্লেনজার। কোষ থেকে ময়লা দূর করে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে সাহায্য করবে।
নিয়মিত টোনিং করলে শীতে তৈলাক্ত ত্বকের ভারসাম্য বজায় থাকবে। হালকা ভেজা মুখে টোনার ব্যবহার করুন। পুদিনা পাতা ফুটিয়ে ছেঁকে ঠান্ডা করে ফ্রিজে রেখে দিন। এছাড়া গোলাপের পাপড়ি আর আপেল সিডার ভিনিগার দিয়েও ঘরোয়া টোনার বানিয়ে নিন।
বাজার থেকেও টোনার কিনতে পারেন। টোনার ত্বকের গভীরে গিয়ে ময়লা পরিষ্কার করে এবং পিএইচ ব্যালান্স ঠিক রাখে।
অনেক সময় শীতকালে তৈলাক্ত ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। মুখের চামড়া ফেটে যায়। এক্ষেত্রে ভেজা মুখে ময়েশ্চারাইজার ভাল করে ম্যাসাজ করুন।
শীতকালে তৈলাক্ত ত্বক শুষ্ক হলে মরা চামড়া ওঠে তাই স্ক্রাবিং করুন সপ্তাহে অন্তত তিনদিন। বাজার চলতি স্ক্রাব রয়েছেই এছাড়া বাড়িতেও কলা আর চিনি চটকে স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যালোভেরা তৈলাক্ত ত্বকের (Skin) জন্য খুব ভাল। শীতকালে বাইরে ধুলোবালি বেশি  থাকার কারণে এই ত্বকে দ্রুত ময়লা জমে, ত্বক রোদে পোড়ে বেশি, ব্রণও হয় বেশি। এক্ষেত্রে অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে চিনি মিশিয়েও স্ক্রাবার তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে।
ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ কমলালেবু শুধু খেলে উপকার নয়, এটি ত্বকের গভীরে গিয়ে ময়লা পরিষ্কার করে। দুই টেবিল চামচ কমলালেবুর রস ও এক চামচ চন্দনের গুঁড়ো মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন। পনেরো মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে শীতে ত্বক থাকবে সতেজ।

মিশ্র ত্বক
মিশ্র ত্বকের ক্লেনজার বাছাইয়ের সময় খেয়াল রাখতে হবে তা যেন মুখের টি-জোনের তেল শুষে নিতে সাহায্য করে এবং মুখের শুষ্ক অংশকে যেন আরও শুষ্ক না করে। লাইট ওয়েট ওয়াটার বেসড ক্লেনজার ব্যবহার করলে ভাল।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, হাইড্রেটিং সিরামাইডযুক্ত স্কিন ব্যালান্সিং টোনার মিশ্র ত্বকের জন্য উপকারী। টোনার হিসেবে আপনি গ্রিন টি বা গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারেন।
ব্যবহার করতে হবে অয়েল ফ্রি লাইটওয়েট ময়েশ্চারাইজার। বাড়িতে দই আর হলুদের তৈরি একটা প্যাক করে মুখে লাগিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করে দশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
রাতে আলফা কিংবা বিটা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড অথবা হায়ালুরনিক কিংবা রেনিটল সমৃদ্ধ সেরাম ব্যবহার করুন। এতে ত্বক থাকবে স্বাভাবিক।
সম্ভব হলে মিশ্র ত্বকের জন্য সপ্তাহে অন্তত দু’বার এক্সফোলিয়েশন বা স্ক্রাব করতে হবে। যেকোনও ত্বকের মৃতকোষ সরানো জরুরি। স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ইনফিউজড স্ক্রাব খুব ভাল। বাড়িতে ওটস, আখরোট, কমলালেবুর খোসা দিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে নিতে পারেন।
এক চামচ টক দইয়ের সঙ্গে আধ চামচ মধু ও সামান্য গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এরপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কম্বিনেশন স্কিনের জন্য খুব কার্যকরী এই প্যাক।

শুষ্ক ত্বক বা ড্রাই স্কিন
শুষ্ক ত্বকে ক্রিম বেসড ফেসওয়াশ ভাল। যেটা ত্বককে ওভারড্রাই করবে না এবং ময়েশ্চার প্রপার্টিজ আছে। ড্রাই স্কিনে খুব দ্রুতই ডেড সেলস জমে যায়, তাই সপ্তাহে দু’দিন এক্সফোলিয়েট করুন। এমন স্ক্রাব নিন যাতে ত্বক শুষ্ক হবে না, ডিপ ক্লিন করবে।
ঘন ক্রিম বেইজড একটু থিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। খুব বেশি শুষ্ক ত্বক হলে কমলালেবুর রস এবং মাখন ফেটিয়ে মুখে ভাল করে ম্যাসাজ করুন। দশ থেকে পনেরো মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া রেগুলার ময়েশ্চারাইজারের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা আর্গান অয়েল মিক্স করে ব্যবহার করুন।
রাতে ঘুমানোর আগে অ্যালোভেরা জেল মুখে হালকা হাতে ম্যাসাজ করে পনেরো মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে নিন ত্বক কোমল ও আর্দ্র থাকবে।
ড্রাই স্কিনের যত্নে ন্যাচারাল অয়েল বেশ কার্যকরী। এটা স্কিনকে ময়েশ্চারাইজড রাখে। এক্ষেত্রে জোজোবা অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বকের ড্যামেজ রিপেয়ার করবে, ত্বককে উজ্জ্বল ও কোমল রাখবে। হাতের তালুতে সামান্য একটু তেল নিয়ে সার্কুলার মোশনে হালকা করে ম্যাসাজ করুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার করতে পারেন। জোজোবা অয়েল না থাকলে কয়েক ফোঁটা আর্গান অয়েল বা অ্যাভোকাডো অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন।

দিনের বেলায় সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন
পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খান। কুসুম-গরম জল দিয়ে মুখ ধোয়ার চেষ্টা করুন। প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ পান করুন। দুধে থাকা ফ্যাট ড্রাই স্কিনের জন্য বেশ ভাল।
শুষ্ক ত্বকের (Skin) জন্য এক চামচ বেসনের সঙ্গে পরিমাণমতো নারকেল তেল ভাল করে মিশিয়ে নিন। আধঘণ্টা ত্বকে লাগিয়ে রাখুন তারপর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিনদিন এই প্যাক ব্যবহার করুন।
ওভারঅল কেয়ার
এ তো গেল মুখে ত্বকের কথা। শীতকালে মুখ ছাড়াও সারা শরীর, কনুই, হাঁটু, পায়ের পাতা ভীষণ শুষ্ক হয়ে যায়। তাই সর্বাঙ্গে যত্নই জরুরি। এই সময় বডি অয়েল ম্যাসাজ করুন নিয়মিত। অলিভ অয়েল ত্বকের জন্য বেশ ভাল তাই ম্যাসাজ করা যেতে পারে। নারকেল তেলও বেশ উপকারী।
মুসাম্বি বা কমলালেবুর রস খুব ভাল ক্লেনজার। এর সঙ্গে ময়দা মিশিয়ে সারা গায়ে হাতে পায়ে ঘষে কিছু সময় রেখে ধুয়ে ফেলুন, শীতে দারুণ উপকার পাবেন।
শীতে কনুই বা তার আশপাশের অংশ খুব কালচে হয়ে যায়। চিনি এবং লেবুর রস মিশিয়ে আলতো করে ম্যাসাজ করে নিন সার্কুলার মোশনে। কিছু সময় রেখে ধুয়ে ফেলুন।
হাঁটুর কালচে শুষ্ক খরখরে ভাব দূর করতে এক টেবিল চামচ লেবুর রস, এক টেবিল চামচ নারকেল তেলের একটি মিশ্রণ তৈরি করে হাঁটুতে ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
টক দই, মসুর ডাল, লেবুর রস, চালের গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে মিশ্রণটি দিয়ে কনুই ও হাঁটুতে ম্যাসাজ করে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলে ময়েশ্চরাইজার লাগিয়ে নিন। এতে করে কালো দাগ কমে আসবে এবং হাঁটু, কনুইয়ের ত্বক বেশ উজ্জ্বল দেখাবে।
রাতে শোয়ার আগে এক চামচ নুন, এক চামচ শ্যাম্পু ও এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে কুসুম গরম জলে পা ডুবিয়ে রাখতে হবে। কিছু সময় পর পা তুলে নরম ব্রাশ দিয়ে ঘষে গোড়ালির মরা চামড়া তুলে ফেলার পর ধুয়ে ফেলতে হবে। পা ধোয়ার পর ময়েশ্চারাইজার ক্রিম বা পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে নিন।
দু’চামচ চালের গুঁড়া, এক চামচ কমলার খোসা বাটা, এক চামচ হলুদ ও এক চামচ মধু মিশিয়ে পায়ে লাগানোর ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে।

শীতে চুলের দেখভাল
হট অয়েল ট্রিটমেন্ট এই ঋতুতে চুলের যত্নের জন্য সবচেয়ে কার্যকর উপায়। চুলে কালার করা থাকলেও একই ভাবে কার্যকর এই হট অয়েল থেরাপি। নারকেল তেল ও ক্যাস্টর অয়েল একটি পাত্রে মিশিয়ে গরম করে নিন। এবার সেই মিশ্রণ দিয়ে চুলে ও মাথার ত্বকে আলতো ম্যাসাজ করুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন করুন।
চুলকে মোলায়েম করতে দু’চামচ টক দই ও তিন চামচ মধু মিশিয়ে একটা প্যাক বানিয়ে নিন। স্নানের আগে এই মিশ্রণ মেখে নিন চুলে। তারপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক চুলের সমস্যা থাকলে দারুণ কার্যকরী হবে এই প্যাক।
শীতে চুলে খুব জট পড়ে। দুটো ডিম ভেঙে তাতে তিন চামচ মধু যোগ করে ফেটিয়ে নিন। এই প্যাকটিও স্নানের আগে চুলে লাগিয়ে এক থেকে দু’ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর চুল ধুয়ে ফেলুন খুব ভাল করে। শ্যাম্পুর পর ক্ষারবিহীন বা খুব অল্প ক্ষারযুক্ত কোনও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
স্নানের সময় এক মগ জলে আধকাপের একটু বেশি মধু মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনারের বদলে এই মিশ্রণ ঢেলে দিন চুলে। আঙুল দিয়ে হালকা ম্যাসাজ করুন। এরপর জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন।
শীতে অনেকেই খুশকির সমস্যায় ভোগেন। এর থেকে রেহাই পেতে চার থেকে পাঁচ চামচ নারকেল তেলের মধ্যে একটা গোটা লেবুর রস ভাল করে মিশিয়ে নিন। এর পর সেই মিশ্রণ চুলের গোড়ায় ভাল করে লাগিয়ে নিন। এক থেকে দেড় ঘণ্টা রেখেই শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে একবার করলেই অনেক উপকার পাবেন।

Latest article