নির্বাচনী ইস্তেহারে (election manifesto) ছিল একের পর এক মহিলামুখী প্রকল্প (Women centric schemes)৷ পর পর প্রতিশ্রুতি শুনলে মনে হবে যেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মস্তিস্কপ্রসূত প্রকল্পের প্রতিরূপ। উজ্জ্বলা ও লাডলি বহেন যোজনার আওতায় থাকা পরিবারকে ৪৫০ টাকায় গ্যাস সিলিন্ডার, ‘লাডলি বহেন যোজনা’য় মহিলাদের মাসিক এক হাজার টাকার বদলে তিন হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি, কন্যাসন্তানকে দু’লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য- সবমিলিয়ে ঢালাও মহিলামুখী প্রকল্প এবং প্রতিশ্রুতি বিজেপির হাতিয়ার ছিল। ২০২৩-এর বিধানসভা নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশে বিজেপির এই অঙ্কের ভোট পাওয়ার পিছনে এই কারণগুলি যথেষ্ট প্রযোজ্য।
আরও পড়ুন-কমিশনের নির্দেশকে ‘ডোন্ট কেয়ার’, বিজেপি রাজ্যে নেতা–নেত্রীদের পকেটে নেশার দ্রব্য
কমলনাথের কংগ্রেস ধরে কাছেই ঘেঁষতে পারল না৷ মধ্যপ্রদেশে শিবরাজ সিংহ চৌহানের বিজেপি প্রথম থেকেই এগিয়ে থেকেছে৷ এই প্রকল্প নিয়ে খোদ শিবরাজ সিং চৌহান স্বীকার করেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের স্ট্র্যাটেজি এবং জনমুখী প্রকল্পের জন্যই তাঁদের এই জয় এসেছে৷ বহেন নে সাথ দিয়া.. (বোনেরাও পাশে থেকেছেন)৷ ’’। বোঝাই যাচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রীতি মেনেই মহিলাদের থেকে পাওয়া বিপুল ভোটের দিকেই নজর ছিল পদ্ম শিবিরের। আর সেটাই যে জয়ের অন্যতম কারণ, সেটা শিবরাজ সিং এক বাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন-মুখোমুখি মারুতি ভ্যান ও ইট বোঝাই ট্রাক্টর, নিজের গাড়িতে হাসপাতালে পাঠালেন মন্ত্রী
উল্লেখ্য, বুথফেরত সমীক্ষাতে বোঝা গিয়েছিল মধ্যপ্রদেশে বিজেপির প্রাপ্ত মোট ভোটের ৪৪ শতংশ আসতে পারে মহিলা ভোটারদের থেকে ৷ এই সমস্ত জনমুখী প্রকল্প যে মহিলা ভোটারদের মধ্যে ভালোই প্রভাব ফেলেছে, সে কথা অনস্বীকার্য।
আরও পড়ুন-লাদাখে যাত্রীবাহী বাসে জঙ্গি হামলা, মৃত ৯
এই বিষয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘ফল স্পষ্ট হয়ে গেছে। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান আর ছত্তিশগড়ে বিজেপির সাফল্য নয়, কংগ্রেসের ব্যর্থতা। একাধিক জায়গায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামাজিক স্কিমের টুকলিবাজি করে জিতছে। সারা ভারতে এই স্কিমগুলি সাড়া ফেলেছে। অন্য কোনও দলের কৃতিত্ব থাকছে না। পশ্চিমবঙ্গে এর প্রভাব পড়বে না, অন্য রাজ্যে কে ভাল করল, সেটা নিয়ে কেউ কেউ চিৎকার করছে।’