রৌনক কুন্ডু, কোচবিহার: এবার আর দুষ্টুমি চলবে না। চলবে না খাওয়ার বায়নাও। কারণ এবার গেছো মেছো বিড়াল কী করছে? কী খাচ্ছে খোঁজ নেবেন স্বয়ং পুলিশ সুপার। একেবারে কড়া অভিভাবক। কারণ সোমবার তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের রসিকবিল মিনি জু পর্যটন কেন্দ্রে জেলা বনদফতরের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মেছো বিড়ালের ভরণপোষণের দায়িত্বভার নিলেন কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য। এদিন জেলা পুলিশ সুপার ও তাঁর স্ত্রী রোশনি দাস ভট্টাচার্য এক বছরের জন্য বার্ষিক ত্রিশ হাজার টাকা ভরণপোষণের মাধ্যমে দায়িত্ব নেন বিড়ালটির।
আরও পড়ুন-বিচার করার আগে হোমওয়ার্ক করে আসার পরামর্শ তৃণমূলের
এবার থেকে মেছো বেড়ালটির সারাবছরের খাবার-সহ যাবতীয় খরচ বহন করবেন পুলিশ সুপার৷ জানা গিয়েছে, এ-বাবদ প্রতিবছর তাঁকে তিরিশ হাজার টাকা ব্যয় করতে হবে৷ জানা গিয়েছে, এই টাকা জমা দিতে হবে জু অথরিটিকে৷ সারমেয়দের অত্যন্ত স্নেহ করেন পুলিশ সুপার৷ জানান, তিনি রসিকবিলের এই মেছো বেড়ালটির যাবতীয় দায়িত্ব নিতে চান বলে কতৃর্পক্ষকে লিখিত আবেদন জানিয়েছিলেন৷ এদিন বনদফতর সেই অনুমতিপত্র দিয়েছে৷ মেছো বেড়ালটিকে দত্তক নিয়ে তিনি ও তাঁর পরিবার খুব উচ্ছ্বসিত। এই প্রসঙ্গে জেলা বন বিভাগের এডিএফও বিজনকুমার নাথ বলেন, রাজ্য জু অথরিটির নির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনে প্রথমবার রসিকবিল মিনি জু-তে বিড়াল দত্তক দেওয়া হয়েছে। দত্তক নেওয়া পশুকে বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন না। দেখা করতে চাইলে তাঁদের সময়-সুযোগ করে আসতে হবে রসিকবিলে মিনি জু-তে। জেলা পুলিশ সুপারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলা বনদফতর।