বিচার করার আগে হোমওয়ার্ক করে আসার পরামর্শ তৃণমূলের

সোমবার হাইকোর্ট সেই মামলার শুনানিতে বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পদক্ষেপ করা যাবে না বলে নির্দেশ দেয়।

Must read

প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্ত অনুষ্ঠান শেষে জাতীয় সঙ্গীত হয়। এটাই বাংলার সংস্কৃতি। সেই সংস্কৃতি নিয়ে বিচার করার আগে বিচারপতিকে হোমওয়ার্ক করে আসার পরামর্শ দিল তৃণমূল। জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগে বিজেপির ১০ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের হয়েছিল। তার মধ্যে সোম ও মঙ্গলবার পরপর দুদিন তাঁদের মধ্যে মোট ৮ জন বিধায়ককে লালবাজারে তলব করেছিল কলকাতা পুলিশ। তার পরিপ্রেক্ষিতে মামলা গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত।

আরও পড়ুন-চা-শ্রমিকদের কথা শুনলেন অভিষেক

সোমবার হাইকোর্ট সেই মামলার শুনানিতে বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পদক্ষেপ করা যাবে না বলে নির্দেশ দেয়। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের সেই নির্দেশের পর তৃণমূলের তরফে সাফ জানানো হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্ত কর্মসূচি শেষে জাতীয় সঙ্গীত হয়। তৃণমূল মুখপাত্র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, কেন মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান শেষে জাতীয় সঙ্গীত হয়, তার নির্দিষ্ট উত্তর আমাদের কাছে আছে। কর্মসূচির শেষে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া তৃণমূলের সংস্কৃতি। এর সঙ্গে শপিংমল উদ্বোধনের তুলনা টানছেন যিনি, তিনি যত বড় পদেই থাকুন না কেন, তা অনভিপ্রেত। দেশীয় মনীষীদের সম্মান করা, জাতীয় সঙ্গীতকে সম্মান করা শিখিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। এটা একটা ঐতিহ্য, এটা একটা ধারা। আদালত প্রয়োজনে হোমওয়ার্ক করুক, না বুঝে এ ধরনের মন্তব্য কাম্য নয়।

আরও পড়ুন-একরাশ আতঙ্ক নিয়ে ফিরলেন যাত্রীরা, গাফিলতির জের, দুর্ঘটনার কবলে রাধিকাপুর এক্সপ্রেস

বিজেপিকে নিশানা করে তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, বিজেপির যাঁরা ধরনা দিচ্ছিলেন তাঁদের জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি কোনও শ্রদ্ধা-ভক্তি নেই। বিজেপি একটা বেইমান বিশ্বাসঘাতক পার্টি। যাদের কর্তারা মুচলেকা দিয়ে ব্রিটিশের চরবৃত্তি করেছে। তাঁদের কাছে কৈফিয়ত দেবে না তৃণমূল। এদিকে আদালত জানিয়েছে, মামলার পরবর্তী শুনানিতে কেস ডায়রি হাজির করতে হবে। সমস্ত অসম্পাদিত ভিডিও ফুটেজ আদালতে জমা করতে হবে।

Latest article