নবনীতা মণ্ডল নয়াদিল্লি: শীতকালীন অধিবেশনের প্রথমদিনেই সোমবার রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খার্গের ঘরে বৈঠকে বসেন বিরোধী নেতৃত্ব। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এবারের অধিবেশনে কোনও বিশৃঙ্খলা নয়, সংসদে গঠনমূলক আলোচনা, বিতর্কে অংশ নেবে বিরোধী শিবির। তৃণমূলের তরফেই এই প্রস্তাব দিয়ে বলা হয়, এবারের অধিবেশনে যদি কোনও ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখাতেই হবে হয় তাহলে তা হবে স্বল্প সময়ের জন্য প্রতীকী প্রতিবাদ। এরপর জনস্বার্থে ফের আলোচনায় যোগ দেবেন তাঁদের সাংসদরা।
আরও পড়ুন-আরবিআই থেকে উধাও ৮০০ কোটি, শহরে তল্লাশি
সোমবার সকালে বিরোধী জোটের কৌশল বৈঠকে যোগ দেন তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন। তাঁদের তরফে বৈঠকে জানানো হয়, কোনও একটি নির্দিষ্ট ইস্যুতে দৈনিক বিক্ষোভ করে সপ্তদশ লোকসভার শেষ পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন ভেস্তে দেওয়া যাবে না। ইন্ডিয়া জোটের যুক্তি, এই অধিবেশনই দেশের বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারকে চেপে ধরার শেষ সুযোগ। সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চারদিন দৈনিক দুপুর ২টো থেকে ৬টা পর্যন্ত অর্থাৎ এই চারঘণ্টা সময়কে কাজে লাগাতে চায় ইন্ডিয়া শিবির। শুক্রবার যেহেতু প্রাইভেট মেম্বার বিল রয়েছে, সেই কারণে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময়কে কাজে লাগানো হবে। ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, দৈনিক একটি করে ইস্যুতে আন্দোলন করা হবে। জিরো আওয়ার থেকে শুরু করে প্রশ্নোত্তর পর্ব, প্রতিটি পর্বেই রাজ্যের ইস্যু তুলে ধরবে তৃণমূল। এদিকে, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশ হওয়া এবং তার প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। কেন কার্যবিবরণী তালিকায় দিয়েও শেষ পর্যন্ত বিষয়টি আনা হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী শিবির। তাঁর পাশে থাকার জন্য সমস্ত বিরোধী দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মহুয়া মৈত্র। তাঁর বিষয়টি নিয়ে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ঐক্যবদ্ধভাবে ওয়াকআউট করে গান্ধীমূর্তির সামনে অবস্থান সত্যাগ্রহ করার প্রস্তাব দেন। সেই প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে।
আরও পড়ুন-কর্ণাটকের গুদামে শস্যের বস্তার নিচে আটকে ১০ শ্রমিক, চলছে উদ্ধারকাজ
এদিন লোকসভা ও রাজ্যসভার বিষয় উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে ভারতীয় দণ্ড সংহিতা নিয়ে আলোচনার জন্য জোটের তরফে ১৬ ঘণ্টা সময় চাওয়া হলেও সরকারের তরফে ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা সময় বরাদ্দ করা হয়। নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিল নিয়ে আলোচনার জন্য ৬ ঘণ্টা সময় মঞ্জুর হয়েছে, অতিরিক্ত বাজেট বরাদ্দ নিয়ে আলোচনার জন্য ৬ ঘণ্টা এবং তেলেঙ্গানা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আলোচনার জন্য ২ ঘণ্টা সময় মঞ্জুর করেছে কমিটি। বিষয় উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে ইন্ডিয়ার তরফে প্রতি সপ্তাহে একটি করে বিষয়ে স্বল্প সময়ের আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়।