প্রতিবেদন : টাকি (Taki) থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে মিনি সুন্দরবন হিসাবে পরিচিত গোলপাতা ফরেস্ট। ডিসেম্বরের শুরুতে শীত পড়তেই ইছামতীর তীরে এই জঙ্গলে পরিযায়ী পাখি দেখতে ভিড় বাড়াচ্ছেন পর্যটকেরা। স্থানীয়দের কাছে গোলপাতার জঙ্গল হিসেবে পরিচিত এই বনের বিস্তৃতি মাত্র ১২৫ বিঘা।
আরও পড়ুন-বালুরঘাট বিমানবন্দর চালুর সম্ভাবনা ক্রমে জোরালো, পরিদর্শনে রাজ্যের প্রতিনিধিদল
নভেম্বরের শেষ থেকেই সেখানে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন জাতের পরিযায়ী পাখি। তাদের দেখার পাশাপাশি ইছামতীর ধারে অরণ্য পরিবেশ উপভোগ করার জন্য যথারীতি ভিড় করছেন পর্যটকরাও। শুধুমাত্র বাংলা নয়, ভারতের অন্য রাজ্য বা দেশের বাইরে থেকেও আসছেন ভ্রমণপ্রেমীরা। সুন্দরবনের মতোই এই জঙ্গলেও আছে সুন্দরী, গরান, গেওয়া, গোলপাতা, হেঁতাল প্রভৃতি গাছগাছালির ভিড়। প্রতি বছরই শীতের মরশুমে ইছামতীর পাড়ে এই জঙ্গলের শান্ত পরিবেশে পাখপাখালির কলতানের মধ্যে নিরিবিলি সময় কাটাতে আসেন বহু পর্যটক। এর জন্য প্রশাসনের উদ্যোগে এই জঙ্গলকে সাজাতে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। সীমান্তরক্ষীদের নিরাপত্তার ঘেরাটোপ পেরিয়ে পর্যটকেরা আসেন এই জঙ্গলে।
আরও পড়ুন-৪৬ হাজার বাড়িতে পরিস্রুত জল পৌঁছে দিতে পুরসভা তৈরি করছে ৬টি জলাধার
এই নিয়ে এখানকার এক কর্মী বলেন, ‘‘এর মধ্যেই এখানে প্রতিদিন গড়ে ২০০-রও বেশি পর্যটক আসছেন। রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলের পাশাপাশি দক্ষিণ ভারত ও নেপাল থেকেও পর্যটকরা এসে ঘুরে যাচ্ছেন। তবে শীত বাড়লে ভিড় অবশ্যই আরও বাড়বে এটা নিশ্চিত।”