প্রতিবেদন : তারাপীঠে সারা বছরই ভক্ত ও পর্যটকদের আনাগোনা চলে। তাদের সুবিধার জন্যই তারাপীঠে সরকারি অতিথিশালার আধুনিকীকরণ করার উদ্যোগ নিল বীরভূম জেলা পরিষদ। অতিথিশালাটি থেকে আপাতভাবে সাহাপুর পঞ্চায়েতের কাজকর্ম চলত। এই বিভাগটিকে ইতিমধ্যে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। গেস্ট হাউসের ছ’টি ঘরকে অত্যাধুনিক করা হবে। সঙ্গে আবাসিকদের গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও করা হবে।
আরও পড়ুন-হামাসকে খতম করতে জল ঢুকিয়ে সুড়ঙ্গে হানা, ইজরায়েলের নয়া কৌশল
এর জন্য প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা খরচ হবে বলে জানা গিয়েছে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ বলেন, গেস্ট হাউসটি জেলা পরিষদের নামে রয়েছে। আপাতত নীচের তলার ঘরগুলি সাজানো হবে। সেখানে অতিথিদের থাকার জন্য অত্যাধুনিক ব্যবস্থা থাকবে। পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও করা হবে। এতে জেলা পরিষদের আর্থিক লাভও হবে। জেলা পরিষদ নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়ে উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।
আরও পড়ুন-১ শতাংশের কব্জায় ৪০% সম্পদ, অর্থনৈতিক অবস্থার এটাই ছবি : ডেরেক
বেশ কয়েকবছর আগে সাহাপুর পঞ্চায়েত অফিসটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। তাই পঞ্চায়েত কার্যালয়কে তারাপীঠ থানা লাগোয়া জেলা পরিষদের অতিথিশালায় সরানো হয়। এতে বাসিন্দাদের ভোগান্তি বাড়ে। তাঁদের তারাপীঠে আসতে হত। গত পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগেই পঞ্চায়েতের নতুন ভবন তৈরির কাজ শেষ হয়। ফলে বর্তমানে সেখান থেকেই পঞ্চায়েতের কাজকর্ম হচ্ছে। ফলে খালি পড়ে থাকা জেলা পরিষদ গেস্ট হাউসটিকে সারিয়ে আধুনিক চেহারা দিতে উদ্যোগ নিল জেলা পরিষদ। ছ’টি ঘরকে সাজানো হবে। থাকবে এসি, আলো। কিছুটা জায়গা বের করে নিয়ে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। প্রশাসনিক আধিকারিক বা সাধারণ মানুষ— সবাই থাকতে পারবেন। পুজো দিতে আসা ভক্তরা বুকিং করে থাকতে পারবেন। এতে জেলা পরিষদের আয় হবে। আরও বেশ কয়েকটি জেলা পরিষদের ভবন নির্মাণ খুব শিগগিরই শুরু হবে।