প্রতিবেদন : হুঁশিয়ারি, হামলা, পাল্টা প্রত্যাঘাত, পণবন্দিদের নিয়ে টানাপোড়েন। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের (Israel- Hamas war) এটাই এখন সর্বশেষ ছবি। সাময়িক যুদ্ধবিরতি পর্বে হামাসের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া পণবন্দিরা শোনাচ্ছেন ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা। বন্দিদশার ট্রমা কাটাতে পারছে না শিশুরা। বন্দিমুক্তির পর থেকেই প্রকাশ্যে আসছে হামাস জঙ্গিদের অত্যাচারের নমুনা। চরম হেনস্থা ও নির্যাতনের শিকার সবথেকে বেশি শিশু ও নারীরা। এবার এই ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘ তথা বিশ্বের নারী অধিকার রক্ষার সংগঠনগুলির ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তাঁর অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে ইজরায়েলের মানুষের জন্য যেভাবে সরব হওয়া দরকার সেই দায়িত্ব পালন করছে না রাষ্ট্রসংঘ বা মানবাধিকার সংগঠনগুলি।
ইহুদিদের উপর হামাসের (Israel- Hamas war) নির্যাতনের ছবি তুলে ধরে রাষ্ট্রসংঘের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি শুনেছি কীভাবে এখনও শিশুরা ঘুমের মধ্যে শিউরে উঠছে। পরিবারের সদস্য বা প্রিয়জনদের পণবন্দি হয়ে থাকার কথা মনে করে কত মানুষ দুর্বিষহ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। বন্দিদশায় কীভাবে নারীদের উপর যৌন নিগ্রহ এবং নারকীয় অত্যাচার হয়েছে সেইসব ঘটনার কথা অন্যদের মতো আমিও শুনেছি। এমনকী ধর্ষণের অভিযোগও আসছে। অথচ এই ইস্যুতে মানবাধিকার সংগঠনগুলির আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি না। মহিলা সংগঠনগুলিই বা কী করছে? রাষ্ট্রসংঘও তো নীরব হয়ে রয়েছে! তাদের কাঁদতে শোনা যাচ্ছে না।
এরপরই ইহুদিদের উপর হামাস জঙ্গিদের নির্যাতন নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ইহুদি হওয়ার কারণেই কি চুপ করে রয়েছে রাষ্ট্রসংঘ? যাঁরা দ্রুত এই যুদ্ধের অবসান চান তাঁরা যেন ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ান। হামাস জঙ্গি সংগঠনকে সমূলে নিঃশেষ করতে ইজরায়েলকে যেন সমর্থন করেন। সমস্ত সভ্য দেশ, প্রশাসন, নেতাকে তাঁর পাশে দাঁড়ানোর আবেদন জানান নেতানিয়াহু।