প্রতিবেদন : খুব শীঘ্রই ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক হবে। এ-নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। রাহুল মঙ্গলবার আমাকে ফোন করেছিল। আলোচনা হয়েছে। আগে থেকে না জানালে মুশকিল হয়। আমার এবং আরও অনেক মুখ্যমন্ত্রী ও নেতাদের আগে থেকেই বিভিন্ন কর্মসূচি থাকে। ফলে অন্তত ৭-১০ দিন আগে তারিখ ঠিক করতে হয়। তবে আমরা বৈঠকে বসছি। কার্শিয়াং যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে বুধবার একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-বাংলাদেশের ভোট নিয়ে কোনও চাপ দেওয়ার অধিকার নেই বিদেশিদের, নির্বাচন কমিশন
এদিন পারিবারিক অনুষ্ঠান ও সরকারি কর্মসূচি নিয়ে প্রায় ৬ দিনের উত্তর-সফরে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘদিন বাদে তিনি উত্তরে পা রাখলেন। তবে এদিন একাধিক বিষয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, নানা অজুহাতে বাংলার প্রাপ্য আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। অথচ ভুয়ো জবকার্ডের নিরিখে শীর্ষে যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশে। তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক? বুধবার, দুপুরে কার্শিয়াং রওনা হওয়ার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে নাম না করে বিজেপিকে সবচেয়ে বড় পকেটমার বলে তীব্র ভর্ৎসনা করেন মমতা।
আরও পড়ুন-সাধ্বীর মিথ্যা.চার সুদীপের জবাব
বাংলার বকেয়া আটকে রেখেছে। একের পর এক দল আসছে। তার পরেও কেন্দ্রের নিরিখেই বিভিন্ন প্রকল্পে দেশের মধ্যে একনম্বর বাংলা। এর মধ্যেই ফের ১০০ দিনের কাজ ও আবাস যোজনার তদন্তে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। এর প্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওঁরা পকেটমার। মানুষের পকেট কাটে। এর আগে ১০৭টি দল এসেছে। আরও দল আসুক। এরা বিজেপিকে রাজনৈতিক অক্সিজেন জোগাতে আসে। ও করেগা, হাম লড়েগা। মুখ্যমন্ত্রী জানান, লোকসভাতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছে দেশের মধ্যে ভুয়ো জবকার্ডে তালিকায় শীর্ষে ডবল ইঞ্জিনের উত্তরপ্রদেশ। তোপ দেগে মমতার প্রশ্ন, সেই নিয়ে যোগী রাজ্যের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে! বাংলার ১০০ দিনের টাকা, গ্রামীণ সড়ক যোজনার টাকা আটকে রেখেছে! তাহলে কেন উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নয়!
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীকে কু.কথা, ক.ড়া জবাব তৃণমূলের
মুখ্যমন্ত্রী জানান, লোকসভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক হবে। সেই বৈঠকের পরেই পরবর্তী কর্মসূচি স্থির হবে। বুধবার বেলা দেড়টা নাগাদ বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সফরসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত নিজেই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, আমি ৬ দিনের জন্য যাচ্ছি। কেউ কেউ বলছে আমি ৭ দিনের জন্য যাচ্ছি। সেটা নয়।
আরও পড়ুন-৫৫ হাজার শূন্যপদ, রাজ্য নিয়োগে তৈরি
আগেই জানিয়েছিলেন তাঁর ভাইয়ের ছেলের সঙ্গে পাহাড়ি মেয়ের বিয়ে হচ্ছে। এদিনও সেকথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বৃহস্পতিবার পাহাড়ে তাঁর কোনও কর্মসূচি নেই। আমাদের পরিবারের সঙ্গে পাহাড়ের মেয়ের বিয়ে হচ্ছে। যার বিয়ে হচ্ছে সেও ডাক্তার। যার সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে সেও ডাক্তার। মুখ্যমন্ত্রী জানান, আমি কোনও পারিবারিক অনুষ্ঠানে থাকি না। কালকেও থাকব না। ওরা বিয়ের পরে আশীর্বাদ নিতে আমার কাছে আসবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরকে কেন্দ্র করে সাজ-সাজ রব পাহাড়-সহ তরাই-ডুয়ার্সে। দীর্ঘদিন বাদে বাংলার এই প্রান্তে একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে তিনি এসেছেন। স্বাভাবিকভাবেই দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা প্রচণ্ড উচ্ছ্বসিত।