নিম্নচাপের ফলে দিঘায় শুরু হয়েছে জলোচ্ছ্বাস। শুধু দিঘা নয়, শঙ্করপুর, মন্দারমনি, তাজপুরেও পূর্ণিমার কোটালের ফলে সমুদ্রের বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে সৈকতে। তুলনামূলকভাবে ওল্ড দিঘায় ঢেউয়ের উচ্চতা ছিল অনেকটা বেশি। শনিবার সকাল ও সন্ধের জোয়ারের সময় সমুদ্রের ঢেউ গার্ডওয়াল টপকে সৈকত সরণিতে আছড়ে পড়ে। সাত থেকে আট ফুট উচ্চতার ঢেউ এদিন পর্যটকরা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেন।
লকডাউনের পরিস্থিতি শিথিল হওয়ায় এবং যানবাহন চলাচল শুরু করায়, সপ্তাহ শেষে দিঘা-সহ উপকূলের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটক আসতে শুরু করেছে। নিম্নচাপ ও জলোচ্ছ্বাসে দুর্ঘটনা এড়াতে দিঘা সৈকত জুড়ে পুলিশ ও নুলিয়াদের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। প্রশাসন পর্যটকদেরও সতর্ক থাকতে বলেছে। সতর্ক করে দিয়েছে নিকটবর্তী গ্রামবাসীদেরও।
আরও পড়ুন-ভিন রাজ্য থেকেও স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের আবেদন, রয়েছে উত্তরপ্রদেশ-গুজরাতও!
তবে করোনা বিধি নিয়ে শুক্রবার রাতে জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজির সঙ্গে দিঘা শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্তাদের একপ্রস্থ বৈঠক হয়েছে। এই সমস্ত পর্যটন কেন্দ্রে কোভিডের সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি হোটেল কর্তৃপক্ষও সজাগ থাকছেন। প্রায় গত দু’বছর হোটেলগুলো বন্ধ ছিল। কর্মীদের একটা বড় অংশের এখনও টিকাকরণ হয়নি। তাঁরা যাতে দ্রুত টিকা নিতে পারেন, তার জন্য জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করছে জেলা প্রশাসন। পর্যটকদের জন্য হোটেলে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থাও থাকছে।
আরও পড়ুন-পাশে প্রশাসন: জখম পুণ্যার্থীকে কোলে করে অ্যাম্বুল্যান্সে পৌঁছলেন পুলিশকর্মী
দীর্ঘ লকডাউন কাটিয়ে অবশেষে দিঘা-সহ উপকূলের অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটক আসতে শুরু করার, হোটেল মালিকদের পাশাপাশি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মুখেও হাসি ফুটতে শুরু করেছে।