প্রতিবেদন : কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে চরম ‘নারী বিদ্বেষী’ মন্তব্যের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার উত্তাল হল বিধানসভার অধিবেশন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ শানালেন মন্ত্রিসভার অন্যতম প্রধান মহিলা মুখ শশী পাঁজা। তৃণমূল-বিজেপি দু’পক্ষই উঠে দাঁড়িয়ে চিৎকার শুরু করে দেয়। চলে স্লোগান, পাল্টা স্লোগান। বিজেপিকে ধিক্কার দিয়ে স্লোগান তুলতে থাকে তৃণমূল। স্লোগান ওঠে, এমন মন্তব্য কেন করা হল বিজেপি জবাব চাই, জবাব দাও।
আরও পড়ুন-রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখালেন ক্ষুব্ধ নদিয়ার মানুষ
এদিন অধিবেশনের শুরুতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্যকে ‘নারী বিদ্বেষী’ বলে তীব্র আক্রমণ শানান রাজ্য মন্ত্রিসভার অন্যতম প্রধান মহিলা মুখ শশী পাঁজা। পয়েন্ট অফ অর্ডার তুলে শশী পাঁজা বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা নারী বিদ্বেষী। সমস্ত মহিলার পক্ষে সেটা লজ্জার। বিজেপি যে নারী বিদ্বেষী, আগেও একাধিকবার তার প্রমাণ মিলেছে। বিজেপি বিধায়কদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যদি গিরিরাজ সিংয়ের মন্তব্য নিয়ে বিজেপির কেউ কিছু না বলে বুঝতে হবে যে এই ঘটনা তারা সমর্থন করছে। রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রীর ঝাঁঝালো বক্তব্যের পর, তাঁর সমর্থনে সরকার পক্ষের অন্যান্য সদস্যরা চিৎকার করতে থাকেন। বিরোধী বিধায়করা এই সময় গোলমাল পাকাতে চেষ্টা করেন। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে শান্ত হওয়ার আবেদন জানিয়ে বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা বাঞ্ছনীয় নয়।
আরও পড়ুন-বিধানসভায় বারবার বিজেপির অসৌজন্য আর অসভ্যতা
এরপর দু’পক্ষের স্লোগান-পাল্টা স্লোগানে অধিবেশন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা বিধায়করা সবাই নিজের আসন ছেড়ে ওয়েল নেমে এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। হই-হট্টগোল চলতে থাকে দু’পক্ষের মধ্যেই। অধিবেশনের অন্যান্য কাজ ব্যাহত হয়। শেষে বিজেপি বিধায়করা ওয়াক আউট করে বেরিয়ে যান। উল্লেখ্য, কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চাঁদের হাট বসেছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে কলকাতায় এসেছিলেন সলমন খান, অনিল কাপুররা। সেখানে সলমন-সোনাক্ষীদের সঙ্গে পা মেলাতে দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। তা নিয়েই অত্যন্ত আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ। এর পর থেকেই তাঁর মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি। কড়া সমালোচনা শুরু করেছে তৃণমূল। এবার গিরিরাজ মন্তব্যের ইস্যু উঠল বিধানসভার অন্দরেও।