প্রতিবেদন : রাজ্যে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রকে ঢেলে সাজাতে আগামী দু’বছরের মধ্যে রাজ্যে ১০টি ইন্টারনেট কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগে ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম সূত্রে খবর, এই পরিকল্পনা সফল হলে সার্বিকভাবে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের বিকাশের পাশাপশি বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
উল্লেখ্য, ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত ও মসৃণ করতে সমুদ্রের তলা দিয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে কেবল লাইন নিয়ে আসা হয়। সে কারণে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতেই ইন্টারনেট কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনগুলি গড়ে তোলা হয়। মুম্বই, কোচি এবং চেন্নাইয়ে ইতিমধ্যেই কেবল স্টেশন গড়ে উঠেছে৷ তবে পূর্ব ভারতে এখনও পর্যন্ত এমন কোনও স্টেশন নেই৷ সদ্যসমাপ্ত বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে রাজ্যে এধরনের ইন্টারনেট কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন গড়ে তোলা নিয়ে বিশেষ নীতি প্রকাশ করেছে সরকার। নতুন নীতিতে এই ক্ষেত্রকে জরুরি পরিষেবা হিসাবে চিহ্নিত করে বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এটিকে জরুরি পরিষেবা হিসেবে চিহ্নিত করে স্ট্যাম্প ডিউটি ও রেজিস্ট্রেশন ফি-তে পুরো ছাড় দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে কাজ শুরুর পর থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত বিদ্যুৎ মাশুলের উপর কর ছাড় দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন-মানোন্নয়নে এগিয়ে শিলিগুড়ি, ৫১১ কোটির জলপ্রকল্প, ২১৮ কোটির ভূগর্ভস্থ কেবল
শ্রমিক সেসের উপরেও সম্পূর্ণ ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পশ্চিমবঙ্গ ও পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি ছাড়াও নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশ এই প্রকল্প থেকে সুবিধা পাবে। ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হওয়ার পাশাপাশি খরচ ১০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন সংক্রান্ত নীতি সার্থকভাবে রূপায়ণের জন্য মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে সমন্বয়সাধন করে দ্রুত প্রকল্প রূপায়ণের কাজ করবে।