সংবাদদাতা, বর্ধমান : বুধবার দুপুরে বর্ধমান স্টেশনে (Bardhaman station accident) ২ ও ৩ নম্বর প্লাটফর্মের জলাধার ভেঙে তিনজন মারা যান। অন্তত ৪০ জন জখম হন। ঘটনার সময় স্টেশন বাজারের কাছে সবে যাত্রী নামিয়েছেন টোটোচালক শেখ আজিজুল, বাপি শেখরা। সেই সময় বিরাট আওয়াজ শুনে ভাবলেন, ট্রেন উল্টে গিয়েছে। একছুটে এক নম্বর প্লাটফর্মে গিয়ে দেখেন, ২ নম্বর প্লাটফর্মের জলাধার ভেঙে যাত্রী-আচ্ছাদনের নিচে চাপা পড়াদের আর্তনাদ। দেরি না করে তাঁদের উদ্ধারে হাত লাগান। শুধু এই দুজন নন, বর্ধমান স্টেশনে বিপর্যয়ের সময় মানবিকতার নজির রাখলেন অন্তত ৭০জন টোটোচালক। উদ্ধারের পাশাপাশি জখমদেরও বর্ধমান মেডিক্যালে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন তাঁরা। তৃণমূলের টোটোচালক সংগঠনের বর্ধমান স্টেশন (Bardhaman station accident) শাখার নেতা ইফতিকার আহমেদ বলেন, ‘রক্তের প্রয়োজন হলেও দাতার অভাব হত না। সেই দলও তৈরি ছিল। মানবিকতার কারণে আমাদের একদল সদস্য যাত্রী না তুলে উদ্ধারকাজে হাত লাগায়। আরেক দল জখমদের স্টেশনে পৌঁছে দেয়। রেলপুলিশ ও রেল কর্তৃপক্ষও টোটোচালকদের ভূমিকায় প্রশংসা করেন। প্রসঙ্গত, বর্ধমান শহরে টোটোচালকদের উপর রেলপুলিশের অত্যাচার নিয়ে অভিযোগ ওঠে মাঝেমধ্যেই। কিন্তু বুধবার দুর্ঘটনার পর টোটোচালকরাই মুখ রাখলেন রেলের। জিটি রোড থেকে স্টেশনে ঢোকার মুখে যাতে যানজট না হয়, সেজন্যে যান নিয়ন্ত্রণও করেন তাঁরা। টোটোচালক মহম্মদ সামসের ও অনিমেষ পাকড়েদের দাবি, পুলিশ, দমকল আসার আগে আমরাই জলাধারের ভেঙে পড়া লোহার চাদর সরিয়ে জখমদের উদ্ধারে হাত লাগাই।
আরও পড়ুন- সংসদে নিরাপত্তা বিঘ্নিত, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ ইন্ডিয়া জোটের