মন্দিরের অবস্থা শোচনীয় হওয়ায় সংস্কারের কাজে হাত লাগানো হয়। চলতি বছরের জুন মাস থেকে কালীঘাট মন্দির (Kalighat Temple) সংস্কারের কাজ শুরু হয়। রিলায়েন্স গোষ্ঠী এই বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করবে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু বছর শেষে বোঝা গেল, সংস্কারের কাজ শেষ করতে আরও বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। প্রসঙ্গত, কালীঘাটের মূল মন্দির, গর্ভগৃহ, ভোগ–ঘর এবং নাটমন্দির কলকাতা পুরসভার গ্রেড–এ হেরিটেজের তালিকাভুক্ত।
আরও পড়ুন-বৈদেশিক ব্যবসা বৃদ্ধি করতে জমি রাজ্যের তরফে, কোচবিহারে শিল্পহাব
এই অবস্থায় মন্দির কমিটির সহ–সভাপতি বিদ্যুৎ হালদার জানালেন, ‘এত ঐতিহ্যবাহী একটি মন্দিরকে সংস্কার করা খুব সহজ নয়। সেখানে মন্দির খোলা রেখে সংস্কারের কাজ করতে হচ্ছে। সম্পূর্ণ অনুমতির জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে সংস্কারের কাজ তাই খানিকটা আটকে যায়। এতকিছুর পরও যেভাবে মন্দির সংস্কারের কাজ করা হচ্ছে সেটা দেখে আমরা খুশি। সময় লাগবে।’ তিনি এদিন আরও বলেন, ‘মাত্র ছয় মাসের মধ্যে এত বড় কাজ করা যায় না! উন্নতমানের প্রযুক্তি দিয়ে মন্দির সংস্কার করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন-জুয়ানকে ছাড়াই আজ গুয়াহাটিতে মোহনবাগান, মাঠে নামতে প্রস্তুত দিমিত্রি
উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কালীঘাট মন্দির সংস্কার করার দায়িত্ব কলকাতা পুরসভাকে দেওয়া হয়। চৈত্র সংক্রান্তিতে কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই সংস্কারের কাজ দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং রিলায়েন্স গোষ্ঠীকে মন্দির সংস্কারের দায়িত্ব দেন। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে কালীঘাট মন্দির সংস্কারের কাজ শুরু করে রিলায়েন্স গোষ্ঠী। তবে মন্দির খোলা রেখে কাজ করতে গেলে সময় লাগবে আরও কিছুটা।