শীতের মরশুমে বাঙালির অন্যতম প্রিয় সবজি ফুলকপি। এই সময় সর্বত্র কম দামে বিকোয় ফুলকপি। কিন্তু সুতিতে কদিন আগের অকালবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় কপির চাষ। ধসা লাগতে শুরু করে কপির জমিতে। যার ফলে বিঘের পর বিঘে কপির ফলনে পচন ধরায় মাথায় হাত সুতির মহিশাই এলাকার কপিচাষিদের।
আরও পড়ুন-চিলড্রেনস পার্ক, ড্রেন, পাকা রাস্তার পাশাপাশি ডেঙ্গিরোধে হচ্ছে সোকপিট
ধসা রোগে পচে যায় গাছের কাণ্ড থেকে গোড়া। ফলে নষ্ট হয় সবজি। মহিশাই এলাকার চাষিরা মূলত ফুলকপি-বাঁধাকপি চাষের উপরেই নির্ভরশীল। কিন্তু এবার তিনদিনের নিম্নচাপের পরে রোদ উঠতেই কপির পাতা ঝরতে শুরু করেছে। কপির পাতা হলুদ হয়ে যাচ্ছে। কপিতে পচন ধরায় আদৌ বাজারে বিক্রি হবে কিনা তা নিয়েও দ্বিধায় চাষিরা। কপিচাষি অসীম মণ্ডল জানান, ১৫ হাজার টাকা খরচ করে দু’বিঘা জমিতে কপি চাষ করেছিলাম। ধসায় অনেক কপি নষ্ট হল। ২০ টাকা পিস দরে বিক্রি না করলে খরচের টাকাই উঠবে না। আরেক চাষি গণেশ মণ্ডল বলেন, বিঘায় ফুলকপি হয় ৪ হাজার পিস। বাজারে সার থেকে বিষ, সব কিছুরই দাম বেড়েছে।
আরও পড়ুন-দিঘা হাসপাতালের পরিকাঠামো বাড়াতে এগিয়ে এল উন্নয়ন পর্ষদ
কিন্তু কপির দাম বাড়েনি। পাইকারি বাজারে ৫ থেকে ৭ টাকা পিস দরে বিকোচ্ছে কপি। একেই দাম নেই, তার উপরে ধসায় নষ্ট হয়েছে প্রচুর কপি। লাভের মুখ দূরঅস্ত্, খরচ উঠবে কিনা তা নিয়েই চিন্তায় আছি। হাজার হাজার টাকা খরচ করেও লাভের মুখ তো দূরের কথা, খরচ উঠবে কিনা তা নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে সুতির কপি চাষিদের। সুতি ১ ব্লকের কৃষি আধিকারিক মুখলেসুর রহমান বলেন, ভাল দাম পাওয়া যাবে এখনই ফুলকপি তুলে নিলে। এই অবস্থায় মাঠ থেকে দ্রুত কপি তুলে নিতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সেইমতো সুতির সবজি চাষিরাও তাঁদের খেত থেকে ইতিমধ্যে কপি তুলে নিতে শুরু করেছেন।