সংবাদদাতা, বসিরহাট : ইটিন্ডার ইটভাটায় দুর্ঘটনায় মৃত এবং জখমদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে রাজ্যের পক্ষ থেকে। মৃতদের ২ লক্ষ টাকা করে এবং জখমদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী দেওয়া হবে এই আর্থিক সহায়তা।
আরও পড়ুন-গ্রামীণ মহিলাদের পাশে মুখ্যমন্ত্রীর আনন্দধারা, ৪৩০ স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ২৮৫ কোটি ঋণ
এদিকে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে নেমেছে পুলিশ। খতিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞরাও। এক বছর ধরে বন্ধ ছিল বসিরহাটের এই ইটভাটাটি। কোনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই ভাটা চালু করতে গিয়ে বয়লারে আগুন দেওয়াতেই বিস্ফোরণ। চিমনি ভেঙে দুর্ঘটনা। প্রাথমিকভাবে এটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪। গুরুতর আহত ৩ জন। ঘটনার পরেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নেন। পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতরা হলেন অসিত ঘোষ (৫০), বাড়ি বসিরহাটের শাকচুড়ায়, হাফিজুল মণ্ডল (৩৫), বাড়ি বসিরহাটের পাইকডাঙায়। বাকি দু’জন রাকেশ কুমার (৩৫) ও জিতু রাম (৫০)। বাড়ি উত্তরপ্রদেশে। আহতরা হলেন প্রদীপ গঙ্গোপাধ্যায়, সঞ্জয় মণ্ডল, বাড়ি বসিরহাটে। যোগেশ্বর নিশাদের বাড়ি উত্তরপ্রদেশে।
আরও পড়ুন-রাজ্যপালের নাটক
ঘটনায় আন্যান্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। বুধবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে বসিরহাট থানা এলাকার ইটিন্ডার হীরা ইটভাটায়। নারায়ণ গোস্বামী জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আহতদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। আর্থিক সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এলাকা পরিদর্শন করে খোঁজখবর নিয়ে দলনেত্রীকে জানিয়েছি। পাশাপাশি ইটভাটাগুলির পরিকাঠামো কেমন আছে তা খতিয়ে দেখার জন্য জেলাশাসকের দফতরে সকলকে নিয়ে একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হবে। যাতে এই ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে তারজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান নারায়ণ গোস্বামী।