প্রতিবেদন: আচার্যের হয়ে মামলা লড়তে কোন বিশ্ববিদ্যালয় কত টাকা করে দিয়েছে এবার তার পূর্ণাঙ্গ হিসেব তলব করল রাজ্য শিক্ষা দফতর। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে যাবতীয় ব্যাখ্যা সহ বিস্তারিত রিপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পেশ করতে হবে শিক্ষা দফতরের কাছে।
আরও পড়ুন-রাস্তায় নেমে আবর্জনা বোঝাই লরি ধরলেন মেয়র
রাজ্যের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে এই রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু টুইট করে জানিয়েছেন, উচ্চশিক্ষা বিভাগ জানতে পেরেছে, রাজভবন থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আচার্যর হয়ে যে আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টে দাঁড়াচ্ছেন তাঁদের পারিশ্রমিক বাবদ যাবতীয় খরচ বিভিন্ন সরকার পোষিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলতে হবে। আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলি তাদের বাজেটে বরাদ্দ করা অর্থ খরচ করতে পারে একমাত্র অর্থকমিটির সিদ্ধান্ত মেনেই। এর প্রেক্ষিতেই উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে পাঁচ দিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে, এই ধরনের কোনও খরচের অনুমতি আদৌ তারা দিয়েছে কিনা। দেওয়া হয়ে থাকলে উচ্চশিক্ষা বিভাগের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিনা এবং কোন বাজেটের কোন অর্থ কমিটির কোন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই টাকা দেওয়া হয়েছে সেই বিষয়টিও জানতে চাওয়া হয়েছে। উত্তর না এলে দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটিস অ্যাক্ট ১৯৭৬ অনুযায়ী উচ্চশিক্ষাবিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলি আর যাই হোক চাবুক চালিয়ে জমিদারি খাজনা আদায়ের তালুক হতে পারে না। ইতিমধ্যে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অন্তবর্তী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। এই মামলার খরচ জোগানোর জন্যই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি থেকে টাকা তুলছেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন-ফুটপাথে হকার, পুরসভার সিদ্ধান্তেই সায় আদালতের
সোমবার রাজ্যের শিক্ষা দফতরের তরফে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানতে চাওয়া হয়েছে, আচার্যের মামলা লড়ার জন্য টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে অর্থ কমিটির অনুমোদন ছিল কিনা? রাজ্যপালকে এই খাতে টাকা দেওয়ার কোনও আইন রয়েছে কিনা? পাশাপাশি এও জানতে চাওয়া হয়েছে, কোন আইনের ভিত্তিতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টে টাকা গেল? আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির তরফে কোনওরকম উত্তর না এলে রাজ্যে শিক্ষা দফতর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে।