প্রতিবেদন : সংসদে চরম নিরাপত্তার গাফিলতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে লাগাতার দাবি জানাচ্ছে বিরোধীরা। খোদ বিজেপি সাংসদের অনুমোদিত পাস ব্যবহার করে সংসদকক্ষে তাণ্ডব চালিয়েছে বহিরাগতরা। বেকায়দায় পড়ে তাই এসংক্রান্ত আলোচনা থেকে পালাতে চাইছে মোদি সরকার।
আরও পড়ুন-পুরুলিয়ার শিল্পভূমে অনাবাদী জমিতে উন্নয়ন ভাবনা
উল্টে প্রতিবাদ দেখালেই দুই কক্ষেই একের পর এক বিরোধী সাংসদকে বহিষ্কার করে তামাশা চালাচ্ছে। সোমবার এই ইস্যুতে বিরোধীদের প্রবল বিক্ষোভের মাঝেই লোকসভায় পেশ হল নতুন টেলিকম বিল। এদিন এই বিল সংসদে পেশ করেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি, ইলেকট্রনিক্স এবং টেলিযোগাযোগমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এই বিল পাশ হলে ব্রিটিশ জমানার টেলিগ্রাফ আইন ও ওয়্যারলেস টেলিগ্রাফি আইন আমূল বদলে গোটা বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের জন্য আসবে নতুন আইন। নতুন মোড়কে আনা বিলের একাধিক ধারা নিয়ে তীব্র আপত্তি তুলেছেন বিরোধীরা।
আরও পড়ুন-নতুন বছরে ত্রিপুরা থেকে আসছে সিংহ, চলছে পরিকাঠামো তৈরির কাজ
নয়া টেলিকম বিলের একাধিক ধারার তীব্র বিরোধিতা করে বিরোধীদের অভিযোগ, বিলটি আইনে পরিণত হলে জাতীয় নিরাপত্তার অছিলায় যত্রতত্র এর অপব্যবহার করবে সরকার। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে এটি মোদি সরকারের অস্ত্র হয়ে উঠবে। নতুন বিলে জাতীয় নিরাপত্তার নামে যে কোনও সংস্থার টেলিযোগাযোগ পরিষেবার নিয়ন্ত্রণ হাতে নেওয়ার বা বন্ধ করার বল্গাহীন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। এর পাশাপাশি নতুন বিলের খসড়ায় ইন্টারনেট নির্ভর ফোন এবং মেসেজকেও টেলিযোগাযোগের আওতায় আনা হয়েছে। অর্থাৎ জাতীয় নিরাপত্তাকে ঢাল বানিয়ে বিরোধীস্বর দমনের সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে নতুন বিলে।
আরও পড়ুন-পূর্ব বর্ধমানে দুয়ারে সরকার, ৩ দিনেই আবেদন জমা ৭৮ হাজার
উল্লেখ্য, গত অগাস্ট মাসে নতুন টেলিযোগাযোগ বিলের খসড়া পাশ হয়েছিল মোদির মন্ত্রিসভার বৈঠকে। সেখানে সরকারের তরফে যুক্তি ছিল ১৩৮ বছরের পুরনো ব্রিটিশ জমানার টেলিগ্রাফ আইন ইন্টারনেট নির্ভর টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী নয়। জাতীয় নিরাপত্তার কারণে নেট-নির্ভর টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে নতুন আইন প্রণয়নের প্রয়োজন রয়েছে। যদিও বিরোধীদের একাংশের অভিযোগ, ভবিষ্যতে প্রস্তাবিত ওই আইন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার পূর্ণ আশঙ্কা রয়েছে