১৯৬১ সালের ১৯ ডিসেম্বর। পর্তুগিজ শাসনের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছিল গোয়া। দিনটি গোয়ায় পালিত হয় ‘গোয়া লিবারেশন ডে’ (Goa Liberation Day) হিসাবে। এটি গোয়ার ৬২তম স্বাধীনতা দিবস। সেই উপলক্ষে রাজ্যের মানুষকে শুভেচ্ছা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- মোদি-শাহ মুর্দাবাদ: সংসদ ভবনের বাইরে ঐক্যবদ্ধ বিরোধীরা, প্রতিবাদ সুদীপ-মল্লিকার্জুনদের
আজ থেকে ৬২ বছর আগে পর্তুগিজ শাসনের হাত থেকে মুক্ত হয়ে নতুন ভোর এনেছিলেন তৎকালীন গোয়ার যোদ্ধারা। ভেঙেছিলেন পরাধীনতার শৃঙ্খল। আজ ২০২৩ সালে আবারও একবার মুক্তির খোঁজ করছে সেখানকার সাধারণ মানুষ। মঙ্গলবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, “আজ ৬২ তম গোয়া লিবারেশন ডে (Goa Liberation Day) উপলক্ষে আমি গোয়ার জনগণকে শুভেচ্ছা জানাই৷ পর্তুগিজদের হাত থেকে রাজ্যের মুক্তির জন্য লড়াকু বীরদের প্রনাম জানাই। আমরা গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে এবং রাজ্য ও জনগণের অগ্রগতি নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।“
I would like to extend my wishes to the people of Goa as today marks the 62nd Goa Liberation Day. Remembering the heroes who fought for the liberation of the state from the Portuguese.
We're committed to upholding democracy and ensuring the progress of the state and the people.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) December 19, 2023
প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ সালে ভারত ইংরেজদের শাসন থেকে স্বাধীন হয়ে গেলেও গোয়া নতুন করে দখল করে বসে পর্তুগিজরা। আসলে ইংরেজরাই ষড়যন্ত্র করে গোয়াকে পর্তুগিজদের হাতে তুলে দিয়েছিল। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু অনেকবার পর্তুগিজদের গোয়া ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানালেও কোনও লাভ হয়নি। বাধ্য হয়ে ১৯৬১ সালে স্থল, বায়ু ও নৌবাহিনী নিয়ে গোয়ায় অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। দ্বীপরাজ্যকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে সেনা। চাপের মুখে ১৯ ডিসেম্বর ১৯৬১ সালে তৎকালীন পর্তুগিজ গভর্নর ম্যানু বাসেলো ডি সিলভা ভারতের গোয়া সমর্পণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয়। এরই সঙ্গে গোয়া-দমন-দিউতে পর্তুগিজদের ৪৫১ বছরের পুরনো উপনিবেশিক শাসন শেষ হয়। ২০ ডিসেম্বর ১৯৬২ সালে দয়ানন্দ ভাণ্ডারকর হন গোয়ার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী।